দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে সব অপকর্মের বিচার হবে : কাইয়ুম চৌধুরী

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন



দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে সব অপকর্মের বিচার হবে : কাইয়ুম চৌধুরী


সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতার কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে তারা দেশে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগনের ন্যায্য দাবী আদায়ে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ করে যখন ঢাকায় গণসমাবেশের প্রস্ততি চলছিল। ঠিক তখনই দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ দিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত হামলা করে তাণ্ডব চালিয়েছে। গণসমাবেশ বানচাল করতে দলের মহাসচিব, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সহ শত শত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে ‘

আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মকবুল হোসেন হত্যা, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটে প্রতিবাদ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু ও সিলেট জেলা বিএনপি নেতা মাহবুব আলম সহ গ্রেফতারকৃত নিঃশর্ত মুক্তি, ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে মকবুল হোসেন হত্যা, মিথ্যা গায়েবী মামলা, হামলা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ জবর দখল করার প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

সভাপতির বক্তব্যে কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের ভাই মকবুল হোসেনকে গুলি করতে হত্যা করেছে। সরকার দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চায়। জনগণ তা মেনে নেবে না। দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্টা হলে আওয়ামীলীগের সকল অপকর্মের বিচার হবে ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘ইতিহাস স্বাক্ষী ঝুলুম-নির্যাতন করে কোন স্বৈরশাসকই ঠিকে থাকতে পারেনি, আওয়ামী লীগও টিকে থাকতে পারবে না। অবিলম্বের বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহান্তরিন থেকে মুক্তি, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সহ ষড়যন্ত্রমূলক গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে, নয়াপল্টনে পুলিশের গুলিতে নিহত মকবুল হোসেনের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত জনগনের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। অন্যতায় দেশের সাধারণ মানুষকে নিয়ে বিএনপি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। তখন আর পালাবার রাস্তাও খোঁজে পাবে না।’

মিছিলটি নগরের রেজিস্ট্রারী মাঠ থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপি নেতা মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক  আজিজুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার প্রমুখ।

সভায় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন,    ‘দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর থেকে দেশে রামরাজত্ব চলছে। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেঁকে গেছে। বিএনপির চেয়ারপারসন, মহাসচিব সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আজ রাজবন্দী। কিন্তু এত কিছুর পরও দেশের মুক্তিকামী মানুষ হাল ছেড়ে দেয় নি। যতই ঝুলুম নির্যাতন করা হোক না কেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনরোষ থেকে বাঁচতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই এই জালিম সরকারের হাত থেকে জনগন মুক্তি পাবে।’


এএফ/১১