সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১৬, ২০২২
০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, স্থপতি-অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেছেন, নদী ও পরিবেশের জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য একটি ভয়াবহ সমস্যা। পরিবেশ দূষণের পর সরাসরি মানবদেহের ক্ষতি করে। মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি ঠেকাতে পদক্ষেপ জরুরি। এ জন্য দূষণবিরোধী সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ সচেতনতা থেকেই কার্যকর পদক্ষেপ বের হয়ে আসবে।
প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণবিরোধী প্রচারণায় সিলেটে সুরমা নদীর কিনব্রিজ এলাকায় স্থপতিদের 'করুক' স্থাপত্য প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একটানা পাঁচ দিনব্যাপী প্রদর্শনীরও সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. বদরুল হক।
আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নদী কমিশনের পরামর্শক ও নদী বিশেষজ্ঞ মো, সাজিদুর রহমান সর্দার, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা এলাইছ মিয়া মতিন, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর, চিত্রণ পরিচালক শিল্পী সত্যজিৎ চক্রবর্তী ও চৈতন্য প্রকাশনের কর্ণধার রাজীব চৌধুরী। স্থপতিদের ‘করুক’ উদ্যােগ নিয়ে বক্তব্য দেন স্থপতি রাজন দাশ ও পরামর্শক-উপদেষ্টা উজ্জ্বল মেহেদী।
সুরমা নদীতে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলার প্রবণতায় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লিডিং ইউনিভার্সিটির নবীন স্থপতিরা অস্থায়ী স্থাপত্যটি নির্মাণ করেন। স্বেচ্ছাশ্রমে করা স্থাপত্যকর্মটি 'করুক' নাম দেওয়া হলেও দুটো বিরল প্রজাতির মাছের প্রতীকী রূপ দেওয়া হয়। এরমধ্যে একটি হচ্ছে বিলুপ্তির তালিকায় থাকা বাঘাইড়। বাঘ মাছ নামে পরিচিত এই মাছটির পেটে প্লাস্টিক বর্জ্য রেখে বিপন্নতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। করুক স্থাপত্যে দুটো বৃহৎ আকৃতির মাছের প্রতীকী উপস্থাপন করে দেখানো হয়েছে, প্লাস্টিক দূষণ নীরবে জলজপ্রাণীর প্রাণ সংহার কী করুণভাবে করছে। জলজ দুই প্রাণীর স্থাপত্যে ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব উপকরণ। বিশ্ব ঐতিহ্য শীতলপাটি ও পাটজাত দ্রব্য। মাছের খাবার হিসেবে পেটে পুরে রাখা প্লাস্টিক।
নদীর জলে যত্রতত্র প্লাস্টিক না ফেলে নিদ্দিষ্ট স্থানে ফেলার আহবানে ডাস্টবিন রাখা হয়েছে।
সবার জন্য উন্মুক্ত এই স্থাপত্য প্রদর্শনীটি গত শনিবার উন্মোচন করা হয়েছিল। দিন ও রাত একটানা পাঁচদিন প্রদর্শনী শেষে সমাপনী হয়। প্রদর্শনী সমন্বয় করেন স্থপতি মিনহাজুল আবেদীন। স্বেচ্চাসেবী হিসেবে কাজ করেন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়, লিডিং ইউনিভার্সিটি ও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী প্রাপ্তি হিয়া নাগ, ফারিহা তাসনীম, নানজীবা খালেদ, মেহজাবিন জান্নাত পাতা ও আনিকা স্বপ্লীলকে সনদপত্র দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।
প্রদর্শনী উন্মোচনের দিন চিত্রণ শিক্ষার্থীদের চিত্রকর্মের পুরস্কার হিসেবে ১৫জনকে সনদপত্র বিতরণ করেন সমাপনী অনুষ্ঠানের অতিথিরা।