সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, ইমাম ও ধর্মীয় নেতাদের সরকারি ভাতা প্রদানসহ তাদের জীবনমান উন্নয়নে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৈশ্বিক মন্দা কেটে গেলেই সেটা বাস্তবায়নে হাত দেওয়া হবে ‘
আগামী নির্বাচনে ইমামদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আলেম-ওলামা ও ইমামদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। করোনাকালে সবধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাফেজি মাদরাসা চালু ছিল। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন মাদরাসায় কুরআন তেলওয়াত জারি থাকলে এই মাটিকে আল্লাহ পাক সবধরনের বালামসিবত থেকে রক্ষা করবেন। আল্লাহর মেহেরবাণীতে তাই হয়েছে। বড় বড় রাষ্ট্রগুলো করোনায় বিপর্যস্ত হলেও পীর-আউলিয়ার পুণ্যভূমি বাংলাদেশকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন।’
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেটের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে সাত জেলার ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপ-পরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আনোয়ার হোসেন, সিলেট জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক আবু ছিদ্দিকুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন ছিলেন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের মহান স্থপতি, তেমনি ছিলেন দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইসলামের প্রচার-প্রসারের মহান পৃষ্ঠপোষক। দেশ স্বাধীনের পর মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পান। এই সংক্ষিপ্ত শাসনকালেই তিনি রাষ্ট্র উন্নয়নের পাশাপাশি ইসলামের প্রচার-প্রসারে অনবদ্য অবদান রাখেন। তাই যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন।
এর আগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অনুষ্ঠানে ইমামদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তিন দফা দাবী পেশ করা হয়।
এএফ/০১