জলবায়ু পরিবর্তন রোধ না হলে, অকার্যকর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি


জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
০৩:৩১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০৬, ২০২৩
০৩:৩১ পূর্বাহ্ন



জলবায়ু পরিবর্তন রোধ না হলে, অকার্যকর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে


জলবায়ু পরিবর্তন এবং পপুলিজমের উত্থান সমাজ উন্নয়নে হুমকি স্বরূপ। তা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জাতীয় ও বৈশ্বিকভাবে একটি অকার্যকর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন সাবেক পররাষ্ট্রের এ সচিব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. শহীদুল হক বলেন, সমাজ উন্নয়নের পেছনে প্রযুক্তির প্রভাব রয়েছে। প্রযুক্তির অগ্রগতি সমাজের উন্নয়নকে তরান্বিত করছে। জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের জন্য একটি হুমকি, তেমনি পপুলিজমের উত্থানও হুঁমকিস্বরূপ। তা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে জাতীয় ও বৈশ্বিকভাবে একটি অকার্যকর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।

পপুলিজমের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, আপনি যদি আমাকে পছন্দ না করেন, আমার মতো কথা না বলেন তার মানে আপনি আমার দলে নেই, তাতেই আপনি আমার শত্রু বনে যান, এটি আমাদের মধ্যে পপুলিজম তৈরি করে। রাজনৈতিক পরিচয়ের উপর ভিত্তি কওের আমাদের মধ্যে পপুলিজম তৈরি হয়। তাই সমাজ উন্নয়নে এসব বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে শাবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শাবিপ্রবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিলারা রহমান, মালয়েশিয়ার সেইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহারুদ্দিন সামশুরিজান, টাটা ইন্সটিটিউট অব স্যোসাল সায়েন্স মুম্বাই ক্যাম্পাসের অধ্যাপক ড. পি কে শাহাজাহান, যুক্তরাষ্ট্রের মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মাতবর।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম মাহবুবুজ্জামান, সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন।

প্রসঙ্গত, এবারের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, নেপাল, ভারত, পাকিস্থান, ইন্দোনেশিয়াসহ মোট ১৪টি দেশের ২৫০ জন গবেষক সরাসরি ও অনলাইনে অংশ নিচ্ছেন। তারা ১৬৬টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন। কনফারেন্সে মোট ৪টি কি-নোট অধিবেশনসহ মোট ২৮টি প্যারালাল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।


এইচএন-০১/এএফ-০৮