সিলেট বোর্ডে বেড়েছে জি‌পিএ-৫, কমেছে পাসের হার

নিজস্ব প্রতিবেদক


ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
০৭:১৮ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
০৭:১৮ অপরাহ্ন



সিলেট বোর্ডে বেড়েছে জি‌পিএ-৫, কমেছে পাসের হার


এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ বছর ‌সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। প্রতিষ্ঠার পর এবারই সর্বোচ্চ জি‌পিএ-৫ প্রা‌প্তির রেকর্ড হয়েছে সিলেট বোর্ডে। তবে বিপরীতে পাসের হার কমে গেছে। 

২০২২ সালে অনু‌ষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফলে সিলেট বোর্ডের পাসের হার৮১ দশ‌মিক ৪০। অথচ গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে ছিল ৯৪ দশমিক ৮০। এর আগে ২০২০ সালে অটোপ্রমোশন দেওয়ায় পাশের হার ছিল শতভাগ।

আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কম্পিউটারের বোতাম চেপে প্রধানমন্ত্রী এই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন বোর্ডের স‌চিব কবীর আহমদ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুন চন্দ্র পাল।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবছর সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে ৬৬ হাজার ৪৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৪ হাজার ১২২ জন। পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ। এই বিভাগের ৯০.৫০ শতাংশ পাস করেছে। এছাড়া ব্যবসা শিক্ষায় ৮০.২৩ শতাংশ ও মানবিকের ৭৯.১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পা্রপ্তির দিক দিয়েও এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ। বিজ্ঝানের ৩ হাজার ৩৩৩ জন, মানবিকের ১ হাজার ২৬ জন ও ব্যবসা শিক্ষার ৫১২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

জেলাওয়ারি ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা যায়, সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সিলেট জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৮৬.৪৮ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৯ জন। হবিগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৮২.২৭ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩৪ জন। মৌলভীবাজার জেলায় পাসের হার ৭৪.৯১ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৭৯ জন। সুনামগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৮২.৮৫ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮৯ জন।

পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। মেয়েরা ৮২.৬১ শতাংশ ও ছেলেরা ৭৯.৬১ শতাংশ পাস করেছে।

গতবছর থেকে সিলেটে এবার পাসের হার কমেছে। গতবছর পাসের হার ছিল ৯৪.৮০ শতাংশ। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৭১৯ জন।

সিলেটে এবার শতভাগ পাস করেছে ১১ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তবে শতভাগ ফেল একটিও প্রতিষ্ঠান নেই।

এবারের ফলাফলকে সন্তোষজনক উল্লেখ করে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. কবির আহমদ বলেন, গত পরীক্ষার আগে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা ছিলো। এছাড়া করোনার কারণে কলেলে ঠিকমত ক্লাসও হয়নি। এসব বিবেচনায় এবারের ফলাফল সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, গত দুইবছরের ফলাফলের সাথে এবারের ফলাফল তুলনা করলে চলবে না। কারণে গতবছর সীমিত কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। আর তার আগের বছর অটো পাস দেওয়া হয়েছে। তাই ফলাফলের তুলনা করতে হবে ২০১৯ সালের সাথে। ওই বছল পাসের হার ছিল ৬৭.০৫ শতাংশ।

এএফ/০৬