বরষাপাড়ায় স্বস্তির জয় বাংলাদেশের

খেলা ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
১১:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
১১:৫৬ অপরাহ্ন



বরষাপাড়ায় স্বস্তির জয় বাংলাদেশের

হোক না প্রস্তুতি ম্যাচ! তবুও তো একটি জয়, অন্তত ১৩ ম্যাচ পর তো উদ্বোধনী জুটি পেয়েছে শতরানের জুটির দেখা। যে জুটিতে জয়ের ভিত তৈরি হয়ে যায়। তাতে ভর করে মেহেদি হাসান মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম শেষ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছেন। রেকর্ডের খাতায় এই ম্যাচের কোনোকিছুই যোগ হবে না। তবুও তো জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবার টস করতে নামা মিরাজের যাত্রাটা শুরু হলো জয় দিয়ে।

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হারের পর আসামের গোয়াহাটিতে বরষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে স্বস্তির এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেটাও আবার ৮ উইকেট হাতে রেখে।

লঙ্কানদের দেওয়া ২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তানজিদ তামিম ও লিটন দাসের শুরুটা ছিল সতর্কিত। মাথা ঠান্ডা রেখে খেলছিলেন তারা। পাওয়ার প্লেতেও তাদের খুব একটা বড় শট খেলতে দেখা যায়নি। ফলে দলীয় ফিফটি এসেছে দশম ওভার। ১০ ওভার শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান করেছিল তারা। তবে পরের ফিফটি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র ২৪ বল।

ব্যাটিং ইনিংসের ১৪তম ওভারে আসে ১৮ রান। শেষ বলে লিটন চার মেরে নিজের ফিফটি ও দলীয় শতক পূর্ণ করেন। এশিয়া কাপে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারা লিটন ছন্দহীন ছিলেন নিউজিল্যান্ড সিরিজেও। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে তিনি ফিরেছেন স্বরুপে। ৫৬ বলে ১০ চারের সাহায্যে খেলেছেন ৬১ রানের একটি ইনিংস।

তবে সুযোগ ছিল আরও বড় ইনিংস খেলার। কিন্তু লাহিরু কুমারা বলে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা চারিথ আসালাঙ্কার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন। তিনি বিদায় নিলেও ক্রিজে টিকেছিলেন তানজিদ তামিম। তার সুযোগ ছিল তিন অংকের রান স্পর্শ করার। কিন্তু সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও পারেননি। ফিরে গেছেন ৮৪ রান করে। তৌহিদ হৃদয় রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন।

তবে তিনে নামা প্রস্তুতি ম্যাচের অধিনায়ক মিরাজ খেলেছেন দৃষ্টিনন্দন এক ইনিংস। ৬৪ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় খেলেছেন ৬৭ রানের এক ইনিংস। এছাড়া মুশফিক ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৪২তম ওভারের শেষ বলে মাধুশাঙ্কার ডেলিভারিতে টোকা দিয়ে ১ রান নিয়ে তিনি ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা শুরুতে ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। বাংলাদেশি বোলাররাও যেন ছিলেন দিশেহারা। কোনো কূল খুঁজে পাচ্ছিলেন না তারা। পাওয়ার প্লের ১০ ওভার থেকে লঙ্কান ব্যাটাররা কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৯ রান সংগ্রহ করে নেন। ১৫তম ওভারে প্রথম উইকেট হারানোর পরও খরচের খাতা বন্ধ হয়নি বাংলাদেশি বোলারদের। রানের চাকার গতি স্বাভাবিক রাখেন পাথুম নিশাঙ্কারা।

রান আসলেও কয়েক ওভারের ব্যবধানেই ৩ টপ অর্ডারকে হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা। ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান ছিল ৯৬-এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ৪০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২০২ রান ছিল শ্রীলঙ্কার।

৪১তম ওভারে গিয়ে যেন লঙ্কানদের বাগে আনেন বাংলাদেশি বোলাররা। শেষ ৬০ বলের মাত্র ৫৫টি খেলতে পারে তারা। তবে সেখান থেকে ৬১ রানের বেশি আদায় করতে পারেননি। তাতে ২৬৩ রানেই গুটিয়ে যায় দাসুন শানাকার দল। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন পাথুম নিশাঙ্কা। ৬৪ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮টি চার ও ১টি ছক্কায়। এছাড়া ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৭৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ৫৫ রান।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেছেন শেখ মেহেদি হাসান। ৯ ওভার বল ঘুরিয়ে তার খরচ ৩৬ রান। এছাড়া নাসুম, শরিফুল, মিরাজ ও তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

আরসি-০৬