সুনামগঞ্জে তোফাজ্জল হ ত্যা মামলায় চাচাতো ভাইয়ের যা ব জ্জী ব ন

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০৭, ২০২৩
০৯:০৫ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৭, ২০২৩
০৯:০৫ অপরাহ্ন



সুনামগঞ্জে তোফাজ্জল হ ত্যা মামলায় চাচাতো ভাইয়ের যা ব জ্জী ব ন


সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের আলোচিত শিশু তোফাজ্জল হত্যা মামলায় দ্রুত বিচার আইনে দূর-সম্পর্কের চাচাতো ভাই  সারোয়ার হাবিব রাসেল নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত।

মঙ্গলবার বিকালে এই রায় প্রদান করেন সুনামগঞ্জ দায়রা জজ মো. হেমায়েত উদ্দিন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সারোয়ার হাবিব রাসেল তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। দণ্ডাদেশ চলাকালীন রাসেল প্রলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি বিকালে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের  জুবয়ায়েল হোসেনের ৭ বছর বয়সী ওই শিশু সন্তান তোফাজ্জাল হোসেন। তোফাজ্জল ছিলেন স্থানীয় বাঁশতলা দারুল হেদায়াত হাফিজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। নিখোঁজের দুই দিন পর শিশু তোফাজ্জলের মুক্তিপন হিসেবে ৮০ হাজার টাকা চেয়ে একটি চিরকুট বসতঘরের দরজায় ফেলে যায় কে বা কারা। দিনমুজর পরিবার উল্লেখিত টাকা প্রদানে অপরগতায় পুলিশকে অবগত করলে পরদিন বাড়ির সামনে বস্তাবন্দী অবস্থায় শিশু তোফাজ্জলের রক্তাক্ত লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্ত। লোমহর্ষকর ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডে নড়েচড়ে বসে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। 

নিহত শিশু তোফাজ্জলের বাবার করার অজ্ঞাতনামা মামলায় তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় নির্ভরশীল তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের বসতঘর ও প্রতিবেশীদের বাড়ি তল্লাসী করে পুলিশ। তল্লাসীর  এক পর্যায়ে বাদীর দূর সম্পর্কে  ভাই হাবিবুর রহমানর বসতঘরের আলমারি থেকে রক্তমাখা ছুরি ও পড়নে পরহিত জামাকাপড়সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে হাবিবুর রহমানের ছেলে সারোয়ার হাবিব রাসেলকে গ্রেফতার করলে আদালতের কাছে স্বাকারোক্তিমুলক জবানবন্ধী প্রদান করে সে। এই ঘটনায় দীর্ঘদিন জেল কাটার পর জামিনে মুক্তি হয়ে আত্মগোপনে চলে যায় অভিযুক্ত রাসেল।

দীর্ঘ শুনানী সাক্ষ্যপ্রমানের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিজ্ঞ বিচারক। রায়ে সারোয়ার হাবিবকে দোষী সাবস্ত করে হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও লাশ গুম করে রাখোর অপরাধে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। পলাতক আসামি রাসেল আদালতে আত্মসমর্পন করা কিংবা পুলিশ কর্তৃক ধৃত হওয়ার পর তার সাজা কর্তন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

মামলার এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন শিশু তোফাজ্জালের বাবা জুয়েল হোসেন। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে জানিয়েছে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী নাসিরুল হক আফিন্দী।


এসই/০৩