খেলা ডেস্ক
নভেম্বর ২৭, ২০২৩
০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৭, ২০২৩
০১:৩৯ অপরাহ্ন
টেস্ট খেলতে হলেই বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের মুখ আমসি হয়ে যায়। নানান ছুতোয় তারা বিরত থাকেন টেস্ট খেলা থেকে। নিউজিল্যান্ড দলে ঠিক উলটো। প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া কিংবা ক্রিকেটের কুলীন ইংল্যান্ডের তুলনায় নিউজিল্যান্ড টেস্ট অনেক কম খেলে বছরে। এই বছর যেমন তারা খেলেছে মাত্র ৫ টেস্ট, অস্ট্রেলিয়া খেলেছে ১১টি! তাই যখনই টেস্ট খেলার সুযোগ আসে, ব্যাপারটা ক্রিকেটারদের কাছে উৎসবের মতো, বলছিলেন অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেল।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছেন ২০১৯ সালে, এখন পর্যন্ত টেস্ট খেলেছেন ১৮টি। বছরে গড়ে ৫টাও নয়, তাই তো এই অলরাউন্ডার সাদা পোশাকে মাঠে নামতে এতটাই রোমাঞ্চিত যে ভুলে গেছেন বিশ্বকাপের ক্লান্তি, ‘আমি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়ে খুবই রোমাঞ্চিত, আমরা অনেকদিন পর লাল বলে খেলছি। দল হিসেবে আমরা টেস্ট খেলতে পছন্দ করি, আমাদের কাছে টেস্ট ম্যাচ মানে উৎসব। বিশ্বকাপের পর টেস্টে ফেরাটা কঠিন, তবে সেসব ভুলে এখন মাঠে নিজেদের প্রমাণ করার পালা।’
টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে নিউজিল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন, কিন্তু দ্বিতীয় চক্রে ৯ দলের ভেতর ষষ্ঠ। ফলটা নিজেদের কাছেই গ্রহণযোগ্য ছিল না কিউই ক্রিকেটারদের, এবার নতুন চক্রে তাদের লক্ষ্য সেই চকচকে গদায়, ‘বড় লক্ষ্যটাকে ভেঙে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে সেটা অর্জন করাই লক্ষ্য আমাদের। সেই পথে প্রথম বাধা বাংলাদেশ। এখানে এসে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। পরিস্থিতিটা একদমই আলাদা, আমাদের এখানে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে। আমরা খুব বেশি দূরে তাকাচ্ছি না, আমরা বড় খেলার অংশ হতে চাই। এজন্যই টেস্ট ক্রিকেটটা খেলা।’
কিউইদের কোচ লুক রঙ্কি মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের কথা চলেই আসে প্রসঙ্গক্রমে। রঙ্কি বললেন, ‘বাংলাদেশ খুবই ভালো খেলেছে সেই টেস্টে। কেউই নিজের দেশে হারতে চায় না, এভাবেই আসলে ক্রিকেটটা হয়। আমরাও এখানে যতটা সম্ভব প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে চাই।’
এএফ/০৯