সিলেট মিরর ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
০৩:৪০ পূর্বাহ্ন

আপডেট : ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
০৩:৪০ পূর্বাহ্ন

প্রেমিক-প্রেমিকা সন্দেহে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তরুণ-তরুণীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে নগ্ন করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের ধারণা, ভিডিওটি গত বছরের মার্চে ধারণ করা। তবে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জোর তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই তরুণ-তরুণী দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

তরুণের বাড়ি পাশের তিতাস উপজেলায়। প্রেমিক-প্রেমিকা সন্দেহে তাঁদের একটি কক্ষে আটকে রেখে ওই নির্যাতন করেছিলেন একদল যুবক। এ সময় তাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়েছিল। ভিডিওতে ভুক্তভোগীদের বারবার আকুতি জানিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘ভাই ভাই, যেভাবেই হোক টাকা জোগাড় করে দেব।

’ এসব আকুতি আমলেই নেয়নি যুবকের দল। তারা প্রথমে তরুণের এবং পরে তরুণীর মাথার চুল ধরে পরনের সব কাপড় খুলে ফেলে। এরপর তাঁদের একসঙ্গে দাঁড় করিয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি উপজেলার গৌরীপুর এলাকায় ধারণ করা হয়েছিল।

আমরা ভিকটিমদের খুঁজছি। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি। প্রাথমিক তদন্তের পর জানতে পেরেছি, ভিডিওটি গত বছরের মার্চ মাসের। দুই দিন আগে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসে।

ভিডিওটি যখনই করা হোক না কেন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এরই মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের আমরা প্রায় শনাক্ত করতে পেরেছি। তবে ভিকটিমদের পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি, ভিকটিম ছেলেটি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি। আমাদের একাধিক টিম ঘটনাটি নিয়ে কাজ করছে। আশা করি, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

এএফ/০২