সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ২২, ২০২৪
১১:১৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২২, ২০২৪
১১:১৯ অপরাহ্ন
সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ৫ জনের মধ্যে গুরুতর দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সিলেট সিটি করপোরেশন কটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো দুজন হলেন মো. মতি মিয়া (৬০) ও মো. মনতাজ মিয়া (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এম এ মান্নান। তিনি বলেন, তাদের শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। দগ্ধ হয়েছে মুখমণ্ডল ও কণ্ঠনালী। যা বিপজ্জনক। যে কারণে, অবস্থা খারাপ হওয়ার আগেই তাদেরকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
এর আগে রবিবার (২১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পাঠানটুলার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের কারণ অনুসন্ধানে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমদ চৌধুরী, প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম,শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ডিপামেন্টের প্রফেসর ড. ফরহাদ মোহাম্মদ হাওলাদার, জালাবাদ গ্যাস লিমিটেডের জিএম (অপারোশন)ইঞ্জিনিয়ার সারওয়ার জাহান মাহমুদ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটি যতদ্রুত সম্ভব তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা দিবেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, পাঠানটুলা এলাকার নর্থ-ইস্ট সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনের পাশে ড্রেন সংস্কারের কাজ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের শ্রমিকরা। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে এক শ্রমিক পাম্পের রিফুয়েলিং মেশিনের কাছেই গ্রাইন্ডিং মেশিন দিয়ে রড কাটছিলেন। এসময় ছুটন্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গ গিয়ে স্টেশনটিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি তেলবাহী ট্রাকের নিচে পড়লে সেখানে আগুন ধরে যায়।
অগ্নিকান্ডের পর সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে খবর দেওয়া হলেও ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে যাবার আগেই সিএনজি পাম্পের কর্মচারীরা স্টেশনটিতে থাকা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের মাধ্যমে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে অগ্নিকান্ডে অন্তত সিসিকের ৫ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। এ পাঁচজনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন- মন্তাজ মিয়া (৩৫), লিটন মিয়া (২৫), আলম মিয়া (২৩), মতিউর রহমান (৬৫) ও সুভাষ দাশ (৫৫)।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগরের মীরাবাজার এলাকার বিরতি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সে সময় পাম্পের ৯ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছিলেন। পরবর্তেতে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জন মারা যান।
এএফ/০২