মুমিনুলের একা লড়াইয়ের পরও বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের

খেলা ডেস্ক


মার্চ ২৫, ২০২৪
০২:২১ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৫, ২০২৪
০২:২৪ অপরাহ্ন



মুমিনুলের একা লড়াইয়ের পরও বড় ব্যবধানে হার বাংলাদেশের


সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের হারটা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। শ্রীলঙ্কার সেই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করছিলেন মমিনুল হক। যদিও তাঁর ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। শেষ পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা অলআউট হয়েছে ১৮২ রানে।

শ্রীলঙ্কা ম্যাচ জিতেছে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে।

রানের হিসেবে শ্রীলঙ্কা এর চেয়ে বড় জয় পেয়েছে আর পাঁচবার। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টের আগে নিশ্চিতভাবে সফরকারীদের জন্য এটা বিশাল পাওয়া। এই জয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও পয়েন্টের খাতা খুলল শ্রীলঙ্কা।

চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে টেস্ট জিততে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল তিন উইকেট। তবে মমিনুল হকের সঙ্গে কিছু সময় উইকেটে টিকে থাকার দৃঢতা দেখান শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের সেই দেয়াল ভাঙেন কাসুন রাজিথা। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ৪২ বলে ১২ রান করা শরিফুলকে ফেরান এই পেসার।

ঠিক পরের বলেই খালেদ আহমেদকে উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ বানিয়ে 'ফাইফার' পূর্ণ করেন রাজিথা। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তাঁর দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট শিকার। প্রথমটিও বাংলাদেশের বিপক্ষেই।

শেষ উইকেটে নাহিদা রানাকে নিয়ে ১৮ রান যোগ করেন মমিনুল। তবে লাহিরু কুমারার বাউন্সারে পরাস্ত হয়ে নাহিদ ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিলে সেঞ্চুরিটা পাওয়া হয়নি এই বাঁহাতি ব্যাটারের।

এই টেস্টটা বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার গল্প হয়ে থাকবে। প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ২৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১৮৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসেও একই চিত্র। শ্রীলঙ্কার ৫১১ রানের জবাব দিতে নেমে ১৮২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

ব্যর্থতার ছবিটা আরো পরিস্কার হবে এই সংখ্যাগুলোতে চোখ রাখলে। দুই ইনিংস মিলিয়ে শ্রীলঙ্কান ব্যাটাররা সেঞ্চুরি করেছেন চারটি। জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। হাফ সেঞ্চুরি করেন দিমুথ করুণারত্নে। উল্টো দিকে দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে মমিনুলের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮৭ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান এসেছে লোয়ার অর্ডার ব্যাটার তাইজুল ইসলামের ব্যাট থেকে।

দুই ইনিংসেই পুরোপুরি হতাশ করেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। বোলিংয়েও ধারাবাহিকতার অভাব ছিল লক্ষণীয়। শুরুতে উইকেট তুলে নিলেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জুটি ভাঙতে ব্যর্থ বোলাররা। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টের আগে এই ব্যর্থতার সমাধান নিশ্চয়ই চাইবে বাংলাদেশ।


এএফ/০৫