সাকিব-মুস্তাফিজের ফেরার ম্যাচে ৫ রানের কষ্টার্জিত জয় বাংলাদেশের

খেলা ডেস্ক


মে ১১, ২০২৪
০১:৪৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১১, ২০২৪
০১:৫০ অপরাহ্ন



সাকিব-মুস্তাফিজের ফেরার ম্যাচে ৫ রানের কষ্টার্জিত জয় বাংলাদেশের


রিশাদ হোসেনকে বোল্ড করে বিচিত্র এক উদযাপনই করলেন লুক জঙ্গি। জুতা খুলে সেটিকে কানের কাছে নিয়ে জিম্বাবুয়ের পেসারের মোবাইল ফোনে কথা বলার ভঙ্গিমা করার দিনে অবশ্য মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম বিচিত্র আরো অনেক কিছুরই সাড়্গী হলো। 

বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিচিত্রিতার। এই সিরিজে তিনবারের চেষ্টায় যা হয়নি, চতুর্থ ম্যাচে এসে সেটি হওয়ার পরও।

আগের ম্যাচগুলোর দুটোতে সফরকারীদের ছোট পুঁজি তাড়ায়ও নাজমুল হোসেন শান্ত্মদের ব্যাটিং জমা করেছিল অনেক প্রশ্ন। একটিতে আগে ব্যাট করেও স্বাগতিকরা কোনোমতে ১৫০ পার করতে পেরেছিল। চট্টগ্রামে প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাটিংয়ের পর ঢাকায় ফেরা দলটির কাছে এবার অন্যরকম কিছুর প্রত্যাশায়ই সম্ভবত গতকাল মিরপুরের গ্যালারি ভরে উঠেছিল। 

দর্শকদের মন ভরানো ব্যাটিংও দেখা যেতে শুরু করেছিল।

কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শেষটা আবার এমন যে দারম্নণ শুরম্নও ভুলিয়ে দেওয়ার মতোই। নাজমুলরা আসলে ৪২ রানে অলআউট হলেন কিনা, এরকম রসিকতাও তাতে বাজার পেল খুব! ১১.১ ওভারে দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (৩৭ বলে ৫২) এবং  সৌম্য সরকার (৩৪ বলে ৪১) মিলে স্কোরবোর্ডে ১০১ রান তুলে দেওয়ার পর বাংলাদেশের ১০ উইকেট তো খোয়া গেছে ওই ৪২ রানেই। সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিং তাই মন ভরানোর পর মনভাঙারও। 

ওভাবে মনভাঙার পর হারেও আরেকবার মন ভাঙতে বসেছিল।

জেতার জন্য ১৪৪ রানের লড়্গ্য অন্ত্মত জিম্বাবুয়ের সাধ্যের মধ্যেই ছিল। সেই সঙ্গে স্বাগতিকদের চার-চারটি ক্যাচ ফেলার ঘটনাও আফ্রিকান দলটিকে জয়ের সুবাস পেতে দেওয়ায় ভূমিকা রেখেছে। তবে আইপিএল ফেরত মুসত্মাফিজুর রহমান এবং প্রায় এক বছর পর আন্ত্মর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা সাকিব আল হাসান মিলে জয়ের নাগাল পেতে দিলেন না জিম্বাবুয়েকে। শেষ দুই ওভারে তাঁদের বোলিংই ২ বল বাকি থাকতে প্রতিপড়্গকে থামালো ১৩৮ রানে। বাজে ব্যাটিংয়ে হারের কোল ঘেষে পাওয়া জয়টি ৫ রানের।

এই জয়ে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ছন্দ ধরে রাখা মুসত্মাফিজ ১৯ রানে ধরলেন ৩ শিকার। ঘটনাবহুল ১৯তম ওভারে তাঁর বলে ক্যাচ নিতে পারলেন না সাকিব। একই ওভারে দুর্দান্ত্ম ফিল্ডিংয়ে অধিনায়ক নাজমুল ছক্কা যেমন বাঁচালেন, তেমনি ‘কাটার মাস্টার’ উইকেটও নিলেন। তাঁর বলে অসাধারণ এক ক্যাচ নেওয়া তানজিদ হাসান তামিম শেষ ওভারে সহজ সুযোগও হাতছাড়া করেন। অবশ্য ওয়াইড বলে বেস্নজিং মুজারাবানিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলা সাকিব পরের বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করে জয় নিয়ে শঙ্কার অবসান ঘটান। সেই সঙ্গে এই অলরাউন্ডার ফেরার ম্যাচও রাঙালেন ৩৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে। 

যদিও শিকারযজ্ঞের পাশাপাশি মিতব্যয়ী বোলিং যোগ হওয়ায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে মুসত্মাফিজের হাতেই। আইপিএল থেকে ফিরে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়া বাঁহাতি পেসার ১৯তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারির মার খেলেও পরের ৫ বলে ৩ রান দিয়ে প্রবলভাবে ঘুরে দাঁড়ান। নেন উইকেটও। তবুও জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা যা ছিল, সাকিবের শেষ ওভারে সব উবে যায়। 

তাই বলে মন ভরানোর পর মনভাঙা ব্যাটিংও ভুলে যাওয়ার নয়!    

 


এএফ/০২