কানাইঘাট দিয়ে সীমান্ত পারের সময় গোপালগঞ্জের দুই ব্যক্তি আটক

মাহবুবুর রশীদ, কানাইঘাট


সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
০১:১৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
০১:১৬ পূর্বাহ্ন



কানাইঘাট দিয়ে সীমান্ত পারের সময় গোপালগঞ্জের দুই ব্যক্তি আটক


সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের দনা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল আড়াইটার দিকে দনা সীমান্তের ১৩৩৩ মেইন পিলার হতে বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫০ গজ ভিতরে বড়খেওড় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের বড় বাহিরভাঘ গ্রামের ইসমাইল মোল্লার পুত্র মশিউর রহমান (৪৮) ও মহেশপুর ইউনিয়নের চরপদ্মভিলা গ্রামের বাবলু হোসেনের পুত্র লিয়াকত শেখ (৪৫)।

তাদের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা ও ১০ হাজার দুইশত ভারতীয় রুপি উদ্ধার করে বিজিবি।

কানাইঘাট সোনারখেওড় বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার জুয়েল জানান, শুক্রবার দনা সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবি সদস্যরা মশিউর রহমান ও লিয়াকত শেখকে আটক করে। তাদের বিরূদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে চেষ্টার ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় মামলা করছে।

এদিকে আটকের পর দুজনকে বিজিবি সদস্যরা কানাইঘাট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, বিজিবির হাতে আটক মশিউর রহমান ও লিয়াকত শেখ এর বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তবে আটককৃত মশিউর ও লিয়াকত শেখ জানান, তারা কোন অপরাধী নন। দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে গিয়ে আসাম রাজ্যে ফেরি করে হকারি ব্যবসা করতেন তারা।

লিয়াকত শেখ বলেন, ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে সে কানাইঘাটের দনা সীমান্ত এলাকায় এসে পূর্বের কথাবার্তা অনুযায়ী দালালের মাধ্যমে ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। তারমধ্যে ঐ দালালের মাধ্যমে মশিউর রহমান সহ সে শুক্রবার ভারতে যাওয়ার কথা থাকলেও দালাল কৌশলে তাদেরকে বিজিবির হাতে ধরিয়ে দেয়।

আটকৃত মশিউর নিজেকে কাশিয়ানী উপজেলার রাজপাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলে দাবী করেন। তবে কেন তারা কানাইঘাট দনা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে যাওয়া চেষ্টা করেছিল তা খতিয়ে দেখছে বিজিবি ও থানা পুলিশ।


এএফ/০১