সিলেট মিরর ডেস্ক
                        সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪
                        
                        ০৪:৫২ অপরাহ্ন
                        	
                        আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৪
                        
                        ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
                             	
                        
            
    ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে মো. আক্কাস আলীকে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলায় আসামির তালিকায় আছেন ২১ সাংবাদিকও।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম। 
এর আগে গত বুধবার নিহতের ভাই আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি করেন। 
ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর তা নিয়মমাফিক কোর্টে পাঠানো হয়েছে। কোর্ট থেকে যাবতীয় কাগজপত্র আসার পর আমাদের কাজ শুরু হবে। এ বিষয়ে আমাদের জোনের ডিসি স্যারসহ মামলাটি নিয়ে কাজ করব।
এ ছাড়া এ বিষয়ে আপাতত দেওয়ার মতো তেমন কোনো তথ্য নেই।’ 
তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো আপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। 
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আসামি করা হয়েছে।
সাংবাদিকরা হলেন বাংলা টিভির নজরুল কবির, নিউজ২৪-এর রাহুল রাহা, ডিবিসির মঞ্জুরুল ইসলাম, কালের কণ্ঠের হায়দার আলী, দৈনিক কালবেলার আজমল হক ফরাজী, বাসসের স্বপন বসু, ভোরের কাগজের ইখতিয়ার উদ্দিন, যায়যায়দিনের অরুণ কুমার দে, বাংলা ইনসাইডারের সৈয়দ বোরহান কবির, ডিইউজের নেতা খায়রুল আলম, ইউএনবির করিম ওয়াহিদ, নিউজ২৪-এর আশিকুর রহমান শ্রাবণ, ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ মুহম্মদ জামাল হোসাইন, সমকালের আবু সালেহ রনি, কালের কণ্ঠের সামনুনুল আলম তুষার, নিউজ২৪-এর জয়দেব দাস, সমকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, ডিবিসির জায়েদুল আহসান পিন্টু, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল আলম ও  ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন।  
এজাহারে বলা হয়, ‘গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আমার ভাই আক্কাস বিজয় মিছিলে অংশ নেয়। তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ যাওয়ার পথে যাত্রবাড়ী থানা অতিক্রম করার সময় মিছিলে গুলি চালানো হয়। গুলিতে আমার ভাইসহ বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হন।’ 
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মামলা হয়। এসব মামলায় দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও আসামি করা হয়। আসামির তালিকা থেকে বাদ যাননি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট নেতারাও। এ ছাড়া সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক সচিব, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকদেরও আসামি করা হয়েছে বিভিন্ন মামলায়।
এসব মামলার মধ্যে বেশির ভাগই হত্যা মামলা। দু-তিনটি বাদে সবই করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। প্রায় সব মামলাই করা হয়েছে নিহতদের পরিবার-স্বজনের পক্ষ থেকে।
এসব ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলার তথ্য পাওয়া যায় গত ১৩ আগস্ট। হত্যা মামলা ছাড়া অন্যান্য মামলায়ও তাকে আসামি করা হয়েছে।
এএফ/০২