সাড়ে ৪ বছরে ৪৭৯ দিনই হাসপাতালে ছিলেন খালেদা জিয়া

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
০৩:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
০৩:৪৫ অপরাহ্ন



সাড়ে ৪ বছরে ৪৭৯ দিনই হাসপাতালে ছিলেন খালেদা জিয়া


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, গত সাড়ে ৪ বছরে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ৪৭৯ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কয়েকদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ২১ আগস্ট তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর আবার তাকে ভর্তি করতে হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এই চিকিৎসক বলেন, ‘আপনাদের বুঝতে হবে, ম্যাডামকে আওয়ামী লীগ সরকার জেলখানায় নেওয়া পর কারান্তরীণ করে একাকিত্বের মধ্যে রেখেছে, তাকে চিকিৎসা দেয়নি। তাকে আস্তে-আস্তে সংকটাপূর্ণ অবস্থার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এগুলো ছিল সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ।’

কারাবন্দি থাকা অবস্থায় বিগত সরকার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করলেও, তার যে ধরনের চিকিৎসার দরকার ছিল, সঠিক সে চিকিৎসা হয়নি বলে দাবি করেন ডা. জাহিদ।

তিনি আরও বলেন, আজকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, কয়েকদিন পরপরই তাকে হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। গত ২১ আগস্ট তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। ১২ সেপ্টেম্বর আবার তাকে ভর্তি করতে হয়েছে।

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখনও বাইরে না নেওয়ার প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, একজনকে বাইরে নেওয়ার জন্য শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। প্লেনে উঠতে হলে নেগেটিভ চাপ সহ্য করার মতো সুস্থতা থাকতে হবে। প্লেন ল্যান্ড করার সময় কতটুকু সহ্য করার শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে, সেটা কিন্তু গল্পের বিষয় না।

জাহিদ বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড আলোচনা করছে, তারা ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে দ্রুততম সময়ে সম্ভব তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি উন্নত সেন্টারে নেওয়ার বিষয়টি দেখছেন। খালেদা জিয়ার এমন কিছু রোগ সৃষ্টি হয়েছে যেগুলো বাইরে উন্নত সেন্টার ছাড়া সম্ভব নয়।


এএফ/০৬