নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
০৭:৪৭ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
০২:৩০ পূর্বাহ্ন
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলাসহ সিলেটে চার মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার শুনানি শেষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
বাবরের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী বিষয়টি সিলেট মিরর-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে সিলেটে চারটি মামলা ছিল। আজ শুনানির পর ওই চারটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে। যার মধ্যে কয়েকটিতে সাজাও হয়েছে। তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ।’
আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ‘জামিন শুনানির দিন প্রথমে ধার্য করা হয়েছিল ৪ সেপ্টেম্বর। পরে ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার জামিনের শুনানির তারিখ পুননির্ধারণ হয়। বুধবার বেলা ১১টার দিকে শুনানি হলেও আদালত জামিনের আদেশ দেন সন্ধ্যায়।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টা মামলা এবং বিস্ফোরক আইনে করা দুটি মামলাসহ চারটি মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর জামিন পেয়েছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের ঈদ–পরবর্তী জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। হামলায় তাঁর ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। আহত হন ৭০ জন।
এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। হত্যা মামলায় ১০ জনকে আসামি করা হয়। ২০১১ সালে তদস্তের পরিপ্রেক্ষিতে আরো ২৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে তৃতীয় দফায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, সিলেটের সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জিকে গউছসহ প্রায় ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ জুন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। সমাবেশে তখন প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক যুবলীগের কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত হন। ওই ঘটনায় দিরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন।
এএফ/০৯