সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ১৫, ২০২৪
০১:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০২৪
০৭:২৩ অপরাহ্ন
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে সবার শীর্ষে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। আর সবচেয়ে তলানিতে রয়েছে ময়মনসিংহ বোর্ড। সিলেট শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা সাধারণ ৯টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডটিতে পাসের হার ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ।
এবারে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের হারে দেশসেরা হয়েছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এ বছর পাশের হার ৮৫ দশমিক ৩৯। যা গত বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এবার নিজের আগের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে সিলেট। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৯৮ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় যা ৪ হাজার ৯৯৯টি বেশি। বিগত কয়েক বছরের ধারা ধরে রেখে এবারও পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যা গতবারের তুলনায় ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কম। ২০২৩ সালে পাশের হার ছিল ৭১ দশমিক ৬২ শতাংশ। পাশের হারের পাশাপাশি জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এসেছে অভূতপূর্ব সাফল্য। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৯৮ জন। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৯৯। শতভাগ পাশ করেছে এমন কলেজের সংখ্যা সিলেটে ৮টি। যা গত বছর ছিল ২টি।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. জাকির আহমদ। পরে বিস্তারিত তুলে ধরেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল।
এদিকে দেশব্যাপি প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, পাসের হারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বরিশাল বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৮১ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তার কাছাকাছি অবস্থানে রাজশাহী বোর্ডও। রাজশাহীতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ।
এ ছাড়া ঢাকা বোর্ড ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৭৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কুমিল্লায় ৭১ দশমিক ১৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ, যশোরে ৬৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
এদিকে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ১১টি বোর্ডের হিসাবে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড। এ বছর এ বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত আলিম পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এরপরই অবস্থান করছে কারিগরি বোর্ড, সেখানে পাসের হার ৮৮ দশমিক ০৯ শতাংশ।
গত ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার পরীক্ষা দেয় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই ও ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সূচিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নতুন করে আর পরীক্ষা না নিয়ে যেগুলো হয়েছে সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের দাবি নিয়ে শত শত পরীক্ষার্থী নজিরবিহীনভাবে ২০ আগস্ট দুপুরে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অবশিষ্ট পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
এএফ/০৩
