সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ২৭, ২০২৪
০৩:৩০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৮, ২০২৪
০১:২৪ পূর্বাহ্ন
রুহুল আমিন গাজীর নাগরিক শোকসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী।
বরেণ্য সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র সভাপতি সদ্যপ্রয়াত রুহুল আমিন গাজীর নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল সিলেটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল তিনটায় সিলেট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (এসএমইউজে)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী।
সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক জুবেরের সভাপতিত্বে ও এসএমইউজের সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমদের সঞ্চালনায় শোকসভার আলোচনায় অংশ নেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট জেলা জামায়েতের আমীর ও ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মো. ফখরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক ডা. শামীমুর রহমান, সিলেট প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক নয়াদিগন্তের সিলেট ব্যুারোপ্রধান আব্দুল কাদের তফাদার, দৈনিক সংগ্রামের সিলেট ব্যুরো প্রধান কবির আহমদ, এসএমইউজের সদস্য শাহজাহান সেলিম বুলবুল, প্রমুখ।
এর আগে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমইউজে'র সভাপতি মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর। কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক।
শোকসভায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলিমুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সদ্য প্রয়াত সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ছিলেন একজন আপসহীন সাংবাদিক নেতা। সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনে তিনি সব সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতো এমন সাহসী নেতৃত্ব সাংবাদিক জগতে বিরল। দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যখনই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তখনই তিনি বুক চিতিয়ে প্রতিবাদ করেছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘সর্বশেষ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় অসুস্থ থাকার পরও তিনি রাজপথে নেমে সাংবাদিকদের সাহস জুগিয়েছেন। তার মৃত্যু সাংবাদিকতা জগতে একটি শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরহুম এম সাইফুর রহমানের একক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার অনিয়ম, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত করে। ফ্যাসিস্টদের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সাংবাদিকসহ সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।’
নাগরিক শোকসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘গণমাধ্যকে বলা হয় সমাজের আয়না। কিন্তু সেটি আয়নার কাজ করেনি। করলে ওই সরকারের ভুল, ক্রটি, দুর্নীতি, লুটপাট, লুণ্ঠন, খুন, গুম, আয়নাঘরের চিত্র তুলে ধরলে শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হতে পারতেন না।’ অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টে চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাবধান থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টরা যাতে সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা স্বৈরশাসক ছিলেন। তাকে মহা স্বৈরাচার থেকে ফ্যাসিস্ট বানানোর পেছনে আমাদের মিডিয়া কম দায়ি নয়। এই মিডিয়াকে বলা হয় সমাজের আয়না। কিন্তু মিডিয়া সমাজের আয়নার মতো কাজ করেনি। যদি আয়নার মতো কাজ করত, এই সরকারের ভুল, ক্রটি, দুর্নীতি, লুটপাট, লুণ্ঠন, খুন, রাহাজানি, গুম, আয়নাঘর এসব চিত্র যদি সেদিন তুলে ধরত শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হতে পারতেন না। আমরা সেটা না করে সেদিন তোষামোদী করেছিলাম। এর দায় আমরা এড়াতে পারিনা।’
সাংবাদিকরা ওয়াচডগের ভূমিকা পালন না করে পেটডগের ভূমিকায় ছিলেন মন্তব্য করে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘সাংবাদিকদের বলা হয় ওয়াচডগ, জাতির অতন্ত্র প্রহরী। কিন্তু আমরা কি সত্যিকার অর্থে বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি-আমরা ওয়াচডগের ভূমিকা পালন করেছি?’ তিনি বলেন, ‘যখন চুক্তি হয়েছে ভারতে, বাংলার মানুষ জানে না গোপন এই চুক্তির কথা। ভারত থেকে ফিরে এসে যখন প্রেস কনফারেন্স করলেন, আমাদের সাংবাদিকরা, সম্পাদকরা কি জিজ্ঞাস করেছেন-কি চুক্তি হয়েছে? জনগণকে অন্ধকারে রেখে সংসদে পাশ কাটিয়ে এরকম চুক্তি করা যায় কি?’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘সেদিন যদি প্রশ্নটি সাহস করে করতে পারতেন, সরকারকে জাবাবহিদিতার মুখোমুখি আনতে পারতেন, তাহলে এসব অপকর্মগুলো হতো না।’ প্রশ্ন করার বদলে তৈলমর্দনে ব্যস্ত ছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমরা কি করলাম, সেখানে আমরা দাঁড়িয়ে বললাম-আপনি শুধু বাংলাদেশের নেত্রী নন, আপনি আন্তর্জাতিক নেত্রী। আপনার নোবেল পাওয়া উচিত। তেল মর্দন করছে আমাদের সম্পাদকরা, সাংবাদিকরা। প্রেস কনফারেন্স আর প্রেস কনফারেন্স থাকেনি সেটা শেখ হাসিনার সংবর্ধনা সভায় পরিণত হয়েছিল। এ দায় আমরা এড়াতে পারি না।’
ছাত্র আন্দোলনের সময় যখন রক্তে পিচঢালা পথ রঞ্জিত হচ্ছিল তখনো তারা দালালিতে ব্যস্ত ছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যখন ছাত্রদের উপর গুলি চালাচ্ছিল, রক্তপাতে ঢাকার পিচঢালা পথ লালে লাল হয়ে গেল। বাংলাদেশ কেঁদে উঠল, কেঁদে উঠল বিশ^ সমাজ। শোকের মাতম ঘরে ঘরে। মা-বোনেরা নেমে এলো রাস্তায়, বিবেকবান মানুষ নেমে এলো রাস্তায়, কিছু কিছু বিবেকবান আওয়ামী লীগও নেমে এসেছিল সেদিন। সেদিন আমরার দেখলাম কিছু সাংবাদিক-পিন্টুদের মতো, আশিষ সৈকদের মতো দালালরা সেদিন বললেন, এটা দমাতে হবে যেকোনো মূল্যে।’ এরপর জাতির বিবেক বলার সুযোগ আছে কিনা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘এদের আমি জাতির বিবেক বলি কিভাবে? এদেরকে আমি সাংবাদিক বলি কিভাবে? এদের আমি ওয়াচডগ বলি কিভাবে? এদের আমি ওয়াচডগ বলতে পারি না, এদের আমি বলি পেটডগ। পোষা কুকুর। এদের সমাজের অতন্ত্রপ্রহরী বলে আমি সমাজকে কলংকিত করতে চাই না।’
সাংবাদিকদেরই সাংবাদিকতাকে বাঁচাতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইদের বলি, সাংবাদিকরাই একমাত্র সাংবাদিকতাকে বাঁচাতে পারে। সাংবাদিকতাকে তার ধ্বংস করে গেছে আপনারা জানেন। বাংলাদেশে সাংবাদিকতা বলতে কিছু ছিল না। মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৮০টি দেশের ১৬৩ নম্বরে নিয়ে গিয়েছিল শেখ হাসিনা।’
অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে আপনারা এখানে এসেছেন। আপনাদের মর্যাদা, আপনাদের গৌরব কত বড় হয়তো আপনারা জানেন না। আমরা চাই না আপনারা ভুল পথে যান কিংবা কোনো প্রলোভনে পড়েন।’
সরকারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে এই সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য নানামুখি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ভিতরের থেকে লোভীরা যেমন আছে ফ্যাসিবাদের দালালরা আজকে এই সরকারকে চারিদিকে ঘিরে আছে। সাবধান থাকতে হবে। এই সরকারকে কোনো অবস্থাতেই ফ্যাসিস্টরা ব্যর্থ করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে।’
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, ‘ সাংবাদিকদের অন্যতম সর্বোচ্চ এই নেতার মারাত্মক কিডনির সমস্যা ছিল। এরপরও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার তাকে গ্রেপ্তার করে ১৭ মাস জেলে রাখে। সেখানে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়নি। চিকিৎসায় অবহেলা করে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এজন্য স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার এবং ওই সময় দায়িত্বপালন করা কারাগারের জেলার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা উচিত। তাদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে।’
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে’র সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী ভাই নেই, বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় থেকেই তাকে চিনি। তিনি ছিলেন একজন অসীম সাহসী নেতা। প্রতিকূল পরিবেশেও তিনি সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। সর্বশেষ ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতনের আগের দিনও তিনি অসুস্থ অবস্থায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পেশাজীবীদের আন্দোলনে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজীর একটি কিডনি কেটে ফেলতে হয়েছিল। এ ধরনের রোগীকে নিয়মিত চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু তাকে জেলে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়নি। তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তিনি মূলত একজন শহীদ।’
জামায়াতে ইসলামীর আমীর হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রুহুল আমিন গাজী ভাইকে হারিয়ে একটি শূন্যতা অনুভব করছি। তার মত এমন সৎ সাহসী নেতৃত্ব বিরল। তার মধ্যে কোন মৃত্যুভয় ছিলো না। কোন ভীরুতা ছিলোনা। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সাংবাদিকদের পেশা বিরোধী সব কালাকানুনের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। এজন্য তাকে ১৭ মাস কারাগারে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তার পরিবারকে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্টার সৈয়দ সলিম মো: আব্দুল কাদির, শাবিপ্রবির প্রফেসর ড. রেজওয়ান আহমদ শাওন, প্রফেসর ড. ইফতেখার আহমদ, প্রফেসর ড. মো. শাহাবুল হক, প্রফেসর মো. বেলাল হোসেন শিকদার, অধ্যাপক ড. জি এম রবিউল ইসলাম, অধ্যাপক ড. পাবেল শাহরিয়ার, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার ড. মো. আতাউর রহমান, ড. শামীম আহমদ তালুকদার, ডা. জামিল আহমদ(এ্যাব), দৈনিক সিলেটের ডাকের অতিথি সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর সিলেটের ব্যুরো প্রধান সেলিম আউয়াল, এডভোকেট তাজউদ্দিন, আরটিভির ব্যুরো প্রধান কামকারুজ্জামান রুনু, এটিএননিউজের সিলেটের ব্যুরো প্রধান শাহ মুজিবুর রহমান জকন, এনটিভির সিলেট প্রতিনিধি সজল ছত্রী, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি ফয়সাল আমীন, দেশ টিভির সিলেট প্রতিনিধি খালেদ আহমদ মেহেদী, নিউ নেশনের সিলেট প্রতিনিধি শফিক আহমদ শফি, কালের কণ্ঠ’র নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াহইয়া ফজল, দৈনিক সিলেটের ডাকের সিনিয়র রিপোর্টার আনাস হাবিব কলিন্স, নুর আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আনিস রহমান, সিলেট প্রেসক্লাবে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, প্রতিদিনের বাংলাদেশ এর স্টাফ রিপোর্টার আবুল কালাম কাওছার, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, আরটিভির সিলেট প্রতিনিধি হাসান মোহাম্মদ শামীম, নয়া দিগন্তের সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, সাংবাদিক জুলফিকার তাজুল, জুনেদ আহমদ চৌধুরী, ইফতেখার মো. নাবিল, শহিদুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলনের সম্বনয়ক গোলাম মর্তুজা সেলিম প্রমুখ।