কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলায় পুলিশের অভিযানে বালু-পাথরসহ আটক ৭

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি


অক্টোবর ২৯, ২০২৪
১২:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৯, ২০২৪
১২:৫৪ অপরাহ্ন



কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলায় পুলিশের অভিযানে বালু-পাথরসহ আটক ৭


সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের শাহ আরফিন টিলায় অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের সময় পুলিশের অভিযানে বালু-পাথরসহ তিনটি হাইড্রোলিক ট্রাক্টর ও ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টীমের সহযোগিতায় এ অভিযান চালানো হয়। 

এসময় শাহ আরফিন টিলার অভিযানে তিন টি হাইড্রোলিক ট্রাক্টর, দুই শত ঘনফুট লাল পাথর ও দুই শত ঘনফুট লাল বালু মাটি জব্দ করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায় ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে শাহ আরফিন টিলার ঐতিহাসিক মাজার ধ্বংস করে পাথর উত্তোলন সহ টিলার বিভিন্ন স্থান থেকে দিনে-রাতে বালু-পাথর লুটপাট চলছে। স্থানীয়রা এসব লুটপাট বন্ধ করতে বাঁধা দিলেও বালু-পাথর লুটপাট বন্ধ করতে প্রশাসনের উদ্যোগে না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে কয়েক কোটি টাকার বালু-পাথর লুটপাট চলছিল।পুলিশের অভিযানের পর বালু-পাথর লুটপাট কিছুটা কমবে বলে আশা স্থানীয়দের। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু-পাথর লুটপাট বন্ধের জন্য কোন অভিযান বা উদ্যোগ না থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিচুপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানুষজন।

পুলিশের অভিযানে আটককৃতরা হলেন, পাড়ুয়া গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে তাজুল মিয়া, কুটি মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন, রিয়াজ উল্লার ছেলে শুভ মিয়া, নারাইনপুর গ্রামের মৌলা মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া, তার ছেলে নজরুল ইসলাম, বাহাদুরপুর গ্রামের দ্বীন ইসলামের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও সুনামগঞ্জের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের মৃত ওয়াহিদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল গফ্ফার।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর আমি থানায় যোগদান করেই অবৈধভাবে বালু-পাথর লুটপাট বন্ধ করতে পুলিশের টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি অভিযান দিয়ে বালু-পাথরের গাড়ী আটক সহ বিভিন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছি। আজকের ঘটনায় মামলায় দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’


কেএ-০১/এএফ-০২