ডা. মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে সিলেটে আলোচনা সভা

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ২৮, ২০২৪
০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৮, ২০২৪
০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন



ডা. মিলনের মৃত্যুবার্ষিকীতে সিলেটে আলোচনা সভা
রাষ্ট্রকে নিরাপদ করে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে শহীদ ডা. মিলন বেঁচে থাকবেন: অ্যাডভোকেট জাকির


বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির আহমদ বলেছেন, ‘শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়েই এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ’৯০-এর ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছিল। তবে গণতন্ত্র এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিরাপদ করে সুশাসন ও সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার সংগ্রামের মধ্যেই শহীদ ডা. মিলন বেঁচে থাকবেন।’

আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ জাসদ, সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ ডা. মিলন দিবসের অঙ্গীকার হউক ‘গণতন্ত্র, সমতা, ন্যায়বিচার ও সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের নিরাপদ বাসযোগ্য নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

সিলেট মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজাদ কবিরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা শাখার সহ সভাপতি লাল মোহন দেব, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছয়ফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল হোসেন, শ্রমিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শৈলেন তালুকদার, জেলা কমিটির সদস্য মাহবুব রশীদ, বাংলাদেশের জাতীয় শ্রমিক জোট সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চন্দ্র দে প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ডা. মিলন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন-বিএমএর তৎকালীন যুগ্ম মহাসচিব ও জাসদ নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। ডা. মিলনের আত্মদানের পর গণ-আন্দোলন এবং গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পরাজয় ও জনগণের ঐতিহাসিক বিজয় অর্জিত হয়েছিল। শহীদ ডা. মিলন কিশোর বয়সে ছাত্রজীবন থেকেই জাসদ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাই সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে লড়াই করার সাহস দেখাতে পেরেছিলেন। বক্তারা আরো বলেন, ডা. মিলনসহ অসংখ্য শহীদের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে সামরিক শাসনের পরজয় হলেও গণতন্ত্র এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। তারা বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের ভিত্তিকে নিরাপদ করার পাশাপাশি রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতি, ক্ষমতাবাজি, দলবাজি, লুটপাট ও বৈষম্যের অবসানের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে। স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতনের পরবর্তী সরকারগুলো ছাত্রদের প্রবর্তিত ১০ দফা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, স্কপ, নারী জোট, ১৭টি কৃষক সংগঠনের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করেনি। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্ণ হলেও এখনও নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান অন্তর্বতী সরকার নিবার্চনীব্যবস্থা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আশা করব, সংস্কারের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। 


এএফ/১০