সিলেটে প্রথমবার হৃদরোগে আক্রান্ত ৯ শিশুর দেহে রিং স্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক


ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪
০৫:০৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪
০১:২০ পূর্বাহ্ন



সিলেটে প্রথমবার হৃদরোগে আক্রান্ত ৯ শিশুর দেহে রিং স্থাপন


সিলেটে প্রথমবারের মতো হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের দেহে রিং বসানোর ঘটনা ঘটেছে। গত দুই দিনে ৯ জন শিশুর দেহে রিং বসানো হয়। বিভাগে চিকিৎসাসেবার সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এ চিকিৎসা দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ‘মুন্তাদা এইড’ নামে একটি সংস্থার অর্থায়নে বিনামূল্যে এ চিকিৎসা পেলো ৯ শিশু।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ও রবিার দুই দিনে জন্মগতভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত ৯ জন শিশুর দেহে ডিভাইস (রিং/বেলুন) বসানো হয়। এসব শিশুর বয়স ৫ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথ ল্যাবে হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিভাগের আয়োজনে ও শিশু বিভাগের সহযোগিতায় এসব অস্ত্রোপচার হয়।

অস্ত্রোপচারে সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের ‘মুন্তাদা এইড’ রোগীর দেহে বিনা মূল্যে ডিভাইস বসানোর পুরো ব্যয় বহন করেছে। অস্ত্রোপচারের কাজের জন্য বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ১০ জনের একটি দল সিলেট আসে। তাদের নেতৃত্ব দেন ওই বিভাগের প্রধান রিজওয়ানা রিমা। 

এসব তথ্য সিলেট মিরর-কে নিশ্চিত করেছেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাইরে এই প্রথমই না, মুন্তাদা এইডের এই কার্যক্রম বাংলাদেশের কোনো সরকারি হাসপাতালে এই প্রথমবার করা হলো। এই ফেইজে ৯ জন শিশুর দেহে রিং বসানো হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পুরো কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে রোগী প্রতি দেড় থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ হলেও এখানে শিশুরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ সেবা পেয়েছে।’



এএফ/১১