জন্মবধিরদের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারীর শতক পূর্ণ করল ওসমানী হাসপাতাল

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ০৫, ২০২৫
০৪:১৯ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৫, ২০২৫
০৪:১৯ অপরাহ্ন



জন্মবধিরদের কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারীর শতক পূর্ণ করল ওসমানী হাসপাতাল


সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মবধির জন্য কানে শোনার কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারীর শতক পূরণ হয়েছে। 

আজ বুধবার (৫ মার্চ) ১০০তম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী সম্পন্ন হয়।

মুনতাহা নামের ৩ বছরের জন্মবধির শিশুর কানে ইমপ্লান্টটি সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন হাসপাতালের নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. নূরুল হুদা নাঈম।

সার্জারী টিমে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. জহিরুল ইসলাম,  ডা. তারিকুল ইসলাম আনন্দ,  ডা. টিএম ইমরান আহমদ,  ডা. মো. এনামুল ইসলাম,  ডা. মো. ময়নুল  ইসলাম,  ডা. ওসমান, ডা. অনিক। এনেস্থেসিওলজিস্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ডা. সায়্যেদা রাহিমা আক্তার রুমী।  অডিওলজিস্ট রুবাইয়্যা রহমান। সিনিয়র স্টাফ নার্স  সুপ্তা চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৫ মে ওসমানী হাসপাতালে প্রথম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী করা হয়েছিল।

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সিওমেকহা প্রকল্প পরিচালক ডা. নূরুল হুদা নাঈম তাঁর অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘প্রথমেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। একটা জন্মবধির শিশু কথা বলতে পারে না-এই চিকিৎসার মাধ্যমে সে কথা শুনতে পারবে এবং কথা বলতেও পারবে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।’ তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো লাগছে বাচ্চার মা সন্তানের মুখে মা ডাক শুনবেন, বাবা শুনবেন বাবা ডাক। যাদের বাচ্চা কথা বলতে পারে না তারাই বেশী অনুভব করতে পারবেন এই কষ্ট। সুতরাং  মা-বাবার আনন্দ আমাকে আবেগাপ্লুত করে।‘

তিনি আরো বলেন, ‘জন্মবধির অথবা মারাত্মক বধীরদের জন্য কানে শোনার এই কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট অপারেশন ওসমানীতে চালু আছে। এমন জন্মবধীর বয়স কেউ ৫ বছরের নিচে হলে চিকিৎসা নিতে পারবেন।


এএফ/০৯