মিয়ানমারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ১৯, ২০২৫
০২:৩৫ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১৯, ২০২৫
০২:৪০ অপরাহ্ন



মিয়ানমারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের বন্দিদশা থেকে মুক্ত ১৯ বাংলাদেশি


অতিরিক্ত অর্থ আয়ের লোভে দুবাই থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টায় কিছু বাংলাদেশি মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পড়েন। পাচারকারীরা তাদের থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মিয়ানমার-থাইল্যান্ড সীমান্তের মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চলের বন্দি শিবিরে আটকে রাখে। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুন ও ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনৈতিক তৎপরতায় ১৯ বাংলাদেশিকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, এই বাংলাদেশিরা দুবাই থেকে থাইল্যান্ড যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পাচারকারীরা তাদের থাইল্যান্ডের নামে মিয়ানমারের বন্দি শিবিরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের জোরপূর্বক কাজ করানো হতো এবং টার্গেট পূরণ না করলে নির্যাতনের শিকার হতে হতো। বন্দি শিবিরের এলাকা থেকে কাউকে বাইরে বের হতে দেওয়া হতো না।  

মিয়ানমারে অবস্থিত এসব বন্দি শিবির থেকে গত কয়েক মাসে চীনের ৬ হাজার, ইন্দোনেশিয়ার ৪০০ এবং ভারতের ২৮৫ নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে, এর আগেও একটি বন্দি শিবির থেকে এক বাংলাদেশি পালিয়ে ইয়াঙ্গুনে আশ্রয় নেন। তার মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি জানতে পারে এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায়।  

মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশিদের উদ্ধারে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও সীমান্তবর্তী মায়াওয়াডি-মেসোট অঞ্চল স্পর্শকাতর হওয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি। থাইল্যান্ড সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের তৎপরতায় ১৯ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে ব্যাংককে পাঠানো হয়। আজ বুধবার রাতেই তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।  

এদিকে, সম্প্রতি মানব পাচারের নতুন রুট হিসেবে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার পথ ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টায় অনেক বাংলাদেশি আটক হচ্ছেন। স্থানীয় কূটনীতিকরা সতর্ক করে বলেছেন, অতিরিক্ত অর্থের লোভে যাচাই-বাছাই ছাড়া বিদেশ যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। নকল নাবিক লাইসেন্স, ওমরাহ ভিসা বা ভিজিট ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে অবৈধ কাজে নিয়োজিত করা হচ্ছে বাংলাদেশিদের।  

এই ঘটনায় কূটনীতিকরা বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এবং বৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

জিসি / ০৩