নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১১, ২০২৫
০২:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১১, ২০২৫
০২:১২ অপরাহ্ন
সিলেটের আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার আসামি এসআই আকবর জামিনে পেয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে রবিবার (১০ আগস্ট) কারাগার থেকে বের হন তিনি।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ডেপুটি জেলার মনিরুল হাসান সিলেট মিরর-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালত হয়ে জামিনের কাগজ গতকাল রবিবার আমাদের কাছে পৌঁছায়। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে রোববার বিকেলেই এসআই আকবরকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার দিকেই তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে তিনি বেরিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, এসআই আকবর আগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কার্যক্রম শুরু হলে ২৫ মার্চ আকবরকে এখানে আনা হয়। জামিনে মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি এই কারাগারেই ছিলেন।
২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানকে তুলে নিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। গুরুতর অবস্থায় পরদিন ১১ অক্টোবর সকালে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
পুলিশের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছিল বলে পরিবার দাবি করলেও শুরুতে পুলিশ এটিকে গণধোলাইয়ে মৃত্যু বলে দাবি করে। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে। তারা ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আকবরকে ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২১ সালের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্যরা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।
এএফ/০১