নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১১, ২০২৫
০৭:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১১, ২০২৫
০৭:৩০ অপরাহ্ন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ ২০১৫ সলের ১০ মার্চ রাতে নিখোঁজ হন। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর ভারতের শিলংয়ে তার সন্ধান মিলে। তার মতো অনেকেই বিগত সরকারের আমলে অপহরণ, গুম এমনকি খুনের শিকার হন। এসব ঘটনা নিয়ে নির্মিতব্য একটি তথ্যচিত্রের শুটিং করতে সিলেটে আসেন সালাউদ্দিন আহমদ। সিলেটের তামাবিল সীমান্তবর্তী এলাকায় করা হয় শুটিং।
আজ শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্তে যান। সেখানে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন এবং শুটিংয়ে অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘটা গুম-খুন নিয়ে ডকুমেন্টারি করা হচ্ছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী। তিনি সিলেট মিররকে বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ সকালে সিলেটে এসে পৌঁছান। তিনি সিলেটে একটি ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে অংশ নিতে আসেন।রাত সাড়ে ৮টার ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় ফিরবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হন। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ দাবি করেন, সাদা পোশাকে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে।
নিখোঁজ হওয়ার পর হাইকোর্ট ৫টি আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জানতে চায় সালাহ উদ্দিনের অবস্থা। ঢাকা মহানগর পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, র্যাব, স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং সিআইডি জবাবে জানান, তাদের হেফাজতে তিনি নেই।
১৯ মার্চ হাসিনা আহমেদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার সুস্থভাবে ফেরত পাওয়ার দাবি জানান। তখন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা একে একে গ্রেপ্তার হচ্ছিলেন এবং আন্দোলন প্রায় নেতৃত্বহীন হয়ে যাচ্ছিল। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সালাহউদ্দিন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দলের কর্মসূচি ঘোষণা করছিলেন।
তবে সালাহউদ্দিন নিখোঁজের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন বলে দাবি করেন তখনকার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
প্রায় দুই মাস পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি হাসপাতাল থেকে তার স্ত্রীকে ফোন করলে সালাউদ্দিন আহমদের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। পরবর্তী সময়ে সালাউদ্দিন দাবি করেন, ২০১৫ সালের মে মাসের সন্ধ্যায় তাকে সিলেটের তামাবিল সীমান্তের এই পথে ভারতের শিলং নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে আইনি জটিলতা ও মামলার কারণে তিনি প্রায় ৯ বছর ভারতে অবস্থান করেন। দেশে ফেরার পথ সুগম হয় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর। ৬ আগস্ট তিনি ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস পান এবং ১১ আগস্ট দেশে ফেরেন।
এএফ/০১