শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
মার্চ ২৮, ২০২০
০৭:৩০ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২৮, ২০২০
০৭:৩০ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার জেলার পর্যটন নগরী হিসেবে ব্যস্ত শহর শ্রীমঙ্গল। যে শহরে কিছুদিন আগেও যানবাহনের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হতো, সে সড়কে আজ শুধুই হাতে গোনা ২/৪টি রিকশা ভ্যান দেখা যায়। সড়কের দুইপাশ প্রায় ফাঁকা। যেন এক বেমানান শহর। সাধারণত শহরের হবিগঞ্জ সড়ক থেকে চৌমুহনা, স্টেশন রোড, ভানুগাছ রোডে থাকে যানবাহনের দীর্ঘ জট। সেখানে শুধু ২/৪টি ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
আজ শনিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে রোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা। শহরের ব্যস্ততম চৌমুহনা চত্বর মোড়ে যানবাহনের কোনো জটলা নেই, নেই কোনো হৈ চৈ। ব্যাটারিচালিত রিকশা, অটোরিকশার পাশাপাশি দু-একটি করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেলেও যাত্রী বলতে ছিলেন দুই-চারজন।
ভানুগাছ রোডে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও যানবাহনের কোনো জটলা নেই। নেই রাস্তার পাশে যাত্রীদের অপেক্ষার সারি। দোকানপাটও তেমন খোলা নেই।
রিকশাচালক আব্দুল জব্বার ও সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তাঘাটে কোনো লোকজন নেই। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভাড়া পাওয়া গেছে মাত্র তিন/চারটি। শহরে তো কোনো মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, আশপাশের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আবার বাসায় ঢুকে যাচ্ছেন।
তবে শহরের তুলনায় গ্রামের অবস্থা ভিন্ন। সেখানে উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা না মেনে অবাধে খোলা রাখা হচ্ছে দোকানপাট, লোকসমাগম লেগেই আছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ ছালেক জানান, শহরে কোথাও মানুষকে অযথা ঘোরাফেরা করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিদিন মাইকিং করে জনগণকে ঘরে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। গ্রামের বাজারগুলোতেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে।