নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২৮, ২০২০
১২:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট : মার্চ ২৯, ২০২০
১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
সিলেট নগরের অদূরেই বিমানবন্দর। জনসীমাবদ্ধ এলাকা হলেও বিমানবন্দর এলাকার আশপাশেই থাকে জনসমাগম। বিকেল হলেই সকল বয়সের মানুষের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠে বিমানবন্দর এলাকা।
পাশেই রয়েছে বাইশ টিলা এলাকায় জেলা পরিষদের ইকো পার্ক। পার্কের পাশেই রয়েছে হাওড়। মুক্ত পরিবেশের জন্য সেখানেও মানুষ ভিড় জমান। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এলাকাটিতে নেমে এসেছে সুনশান নিরবতা। যেন চেনা জায়গায় নেমে এসেছে অচেনা গাম্ভীর্য।
বিমানবন্দর এলাকার জনপ্রিয় চায়ের দোকান বাচ্চু টি স্টল। বাহারি স্বাদের চা পাওয়া যায় এখানে। সঙ্গে আলু চপ, পুরি, চাউমিনসহ আরও অনেক কিছুই পাওয়া যায়। এসব দোকানে ভিড় জমে বিকেল চারটার পরে। নানা বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে প্রাণ চঞ্চল হয়ে ওঠে এলাকাটি। যা অব্যাহত থাকে গভীর রাত অবধি।
শনিবার বিকেলে সেখানে ঘুরে দেখা যায়, মানুষের উপস্থিতি না থাকায় বন্ধ বাচ্চু টি স্টল। বাচ্চু টি স্টলের পাশেই রয়েছে মা স্টোর, ফয়সল স্টোর, মানিক কফি হাউজ, ফুড গোর্ডেন। উল্টো পাশেই রয়েছে মান্নান স্টোর ও ফাবি ধাবা। সবগুলোই মুখর থাকতো জনসমাগমে।
করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাই স্বেচ্ছায় গৃহবন্দী জীবন বেছে নিয়েছেন। তাই তো জনবহুল এসব স্থানে নেই মানুষের আনাগোনা। করোনা ঝুঁকিতে আশেপাশের টং দোকানগুলোও রয়েছে বন্ধ।
জনহীন এই প্রান্তরের দোকানীদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। জানা যায়নি দিন এখন কিভাবে কাটেছে। তবে আশেপাশে অল্প কয়েকটি দোকান ছিল। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। বেশিরভাগ ক্রেতা ছিলেন শহরের বাসিন্দারা। তাদের আসা যাওয়া কমে যাওয়ায় তাই প্রায় ক্রেতাহীন দিন পার করছেন তারা।
পাশেই বিমানবন্দর। নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের মতোই দায়িত্ব পালন করছিলেন। কোনো মানুষকে ভেতরে যেতে দেওয়া হয় না এমনিতেই। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে এখন কড়াকড়ির মাত্রাটাও বেড়েছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে সিলেট পর্যটন এলাকাতেও। করোনা সর্তর্কতার কারনে সরকারি নির্দেশেই বন্ধ রয়েছে এসব এলাকা।