তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
০৩:১১ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
০৩:১৭ অপরাহ্ন



তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট


উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে আবারও তিস্তার পানি বেড়ে গেছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৪সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। দুপুরের পর থেকে পানি ক্রমেই বাড়তে থাকে। রাত ৯টায় তা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। সকালে আরও পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তা পাড়ের নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কিছু জায়গায় ইতোমধ্যেই পানি ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, পানির স্তর বাড়তে থাকলে চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি প্লাবিত হতে পারে। এতে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ির ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখার চেষ্টা করছেন।

ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তায় পানি বেড়েই চলেছে। এখনো ঘরবাড়ি ডুবেনি, কিন্তু মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সকাল ৬ টা থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সব জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে (১৪ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর) রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলো, তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি সমতল আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মধ্যে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এ সময় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

জিসি / ০২