বিয়ানীবাজারে হাসপাতালে কমেছে রোগী, সেবা চলছে হটলাইনে

শিপার আহমদ, বিয়ানীবাজার


এপ্রিল ০১, ২০২০
১০:২১ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০১, ২০২০
১০:২১ অপরাহ্ন



বিয়ানীবাজারে হাসপাতালে কমেছে রোগী, সেবা চলছে হটলাইনে

সিলেটের বিয়ানীবাজারে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ঘরবন্দি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। এমনকি চিকিৎসাসেবা নিতে তারা হাসপাতালেও যাচ্ছেন না। আগে যেখানে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যার অভাবে প্রতিদিন রোগীদের মেঝেতে রেখে সেবা দিতে হতো, সেখানে এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মাত্র ৭ জন রোগী। ওয়ার্ডের প্রায় সবগুলো বেডই খালি পড়ে আছে। বহির্বিভাগও পুরো ফাঁকা। অথচ করোনা আতঙ্কের আগে এই বহির্বিভাগে প্রতিদিন ৪-৫ শতাধিক রোগী চিকিৎসাসেবা নিতেন। এখন অনেকেই হাসপাতালের হটলাইন নম্বরে ফোন করে সেবা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বাইরে সিএনজি অটোরিকশার ভিড় নেই। রোগীর স্বজনদের আনাগোনাও খুব একটা দেখা যায়নি। বলতে গেলে পুরো হাসপাতাল চত্বরে বিরাজ করছে ভুতুড়ে পরিবেশ। হাসপাতালের ভেতরটাও প্রায় একই রকম। বহির্বিভাগে কাউকে সেবা নিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি। জরুরি বিভাগেও আগের মতো তাড়াহুড়ো করে কাউকে চিকিৎসা দিতে দেখা যায়নি। রোগীর নামের রেজিস্ট্রি খাতা বেশি উল্টানোর প্রয়োজন হচ্ছে না দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্সদের। হাসপাতালের সময় কমিয়ে আনা হলেও নির্ধারিত জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের দায়িত্ব পালনে হাসপাতালেই অবস্থান করছেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বেশি জরুরি না হলে কেউ ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো। বাড়িতে অবস্থান করে সেবা নেওয়া যাবে- এমন অসুখের জন্য হাসপাতালে এসে ভিড় করা ঠিক হবে না। সবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হটলাইন নম্বর চালু আছে। সেখানে যোগাযোগ করে সেবা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি ওয়ার্ড ও দু'টি কেবিন আইসোলেশন প্রস্তুত রেখেছেন দায়িত্বশীলরা। প্রাথমিক অবস্থায় সেখানে ওয়ার্ড ও কেবিন মিলে ১১টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেবা দিতে চিকিৎসকদের জন্য রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আসা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সুরঞ্জাম (পিপিই)। তবে এখন পর্যন্ত আইসোলেট করার মতো কোনো রোগীর সন্ধান না পাওয়ায় অনেকটা স্বস্তি প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। পাশাপাশি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে (ইমার্জেন্সি) দিবারাত্রি একটি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের ন্যুনতম লক্ষণ দেখা গেলে দ্রুত হটলাইন নম্বরে কল করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান।