করোনা সন্দেহ : জৈন্তাপুরের ৩ জনের নমুনা সিলেটে প্রেরণ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


এপ্রিল ০৯, ২০২০
০২:০৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ০৯, ২০২০
০২:০৮ পূর্বাহ্ন



করোনা সন্দেহ : জৈন্তাপুরের ৩ জনের নমুনা সিলেটে প্রেরণ
প্রস্তুত রয়েছে ১০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট

করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রায় ৩শ জনের ১৪ দিন পূর্ণ হওয়ায় তারা আশঙ্কামুক্ত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত তাবলিগ জামায়াতের শতাধিক মুসল্লি জৈন্তাপুর ত্যাগ করেছেন।

প্রানঘাতী ভাইরাস করোনার সংত্রুমণ রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার অংশ হিসেবে আজ বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে করোনা শনাক্তকরণের জন্য জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত সোমবার (৬ এপ্রিল) ১ জনের নমুনা পাঠানো হয়। তিনজনের মধ্যে একজন গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বাসিন্দা।

বিদেশফেরত প্রত্যেককে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে- এমন নির্দেশনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জৈন্তাপুর উপজেলায় আসা প্রায় ৩শ লোক বিভিন্ন মেয়াদে নিজ নিজ বাসা-বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। উপজেলা প্রশাসন ও জৈন্তাপুর মডেল থানার পুলিশ নিয়মিত এ সকল মানুষের তদারকি করেছে। গতকাল মঙ্গলবার এদের প্রত্যেকেরই ১৪ দিনের অধিক সময় পেরিয়ে গেছে। এই সময়ের মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ দেখা না দেওয়ায় তারা সবাই শঙ্কামুক্ত বলা চলে।

এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে অবস্থারত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত তাবলিগ জামায়াতের মুসল্লিদের পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় একত্রিত করে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় ২টি বাসে করে বিদায় জানানো হয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলায় সপ্তাহের হাটের দিন ছিল আজ বুধবার। এদিন নিয়মিতভাবে বাজার বসেছে। কাঁচা বাজার, মুদি দোকান এবং ফার্মেসি ছাড়া অন্য সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলক বন্ধ থাকার কথা থাকলেও চায়ের দোকান ও কাপড়ের দোকানসহ বেশ কয়েকটি অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা দেখা থাকতে গেছে।

এ অবস্থায় বুধবার সকাল ১১টায় হাটে প্রবেশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় তিনি হ্যান্ডমাইক হাতে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া বিভিন্ন দোকানের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা ও ৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অন্যদিকে, করোনা আত্রুান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জৈন্তাপুর উপজেলার ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের ৩য় তলায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে রয়েছে ৭টি অক্সিজেন এবং ১৫০টি পিপিই। এখানে ৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আমিনুল হক সরকার জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা করোনাভাইরাসের যাবতীয় উপসর্গ নির্ণয়ের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করছি। এ পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে যে ৩ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে তাদের কোনো ফলাফল আমাদের হাতে আসেনি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছি।