বিয়ানীবাজারে ৮ তাবলিগ কর্মী হোম কোয়ারেন্টাইনে

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি


এপ্রিল ১২, ২০২০
০৩:১৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২০
০৩:১৯ পূর্বাহ্ন



বিয়ানীবাজারে ৮ তাবলিগ কর্মী হোম কোয়ারেন্টাইনে

বিয়ানীবাজারে তাবলিগ জামাতের ৮ কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। 

আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ ও ডা. জীবনান্দন দেব রায় তাবলিগ ফেরত এই ৮ কর্মীকে চিহ্নিত করে তাদের বাড়িতে গিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেন। 

জানা যায়, বিয়ানীবাজারে গত দুই দিনে তাবলিগ জামাতের ৮ জন কর্মী দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাড়ি ফিরেন। তারা বাড়ি ফিরেই নিজ নিজ মসজিদে নামাজ আদায় করেন। কেউ কেউ যান হাটবাজারে, এমনকি পরিচিতজনদের সঙ্গে আড্ডাও দেন। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। 

খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়। এছাড়াও তাবলিগ জামাত থেকে আর কেউ ফিরেছেন কি-না সে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা। 

উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেশে তাবলিগ জামাতের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এজন্য গত দুদিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ২০ জনেরও অধিক ব্যক্তি বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাবলীগের কাজ শেষে বাড়ি ফিরেছেন। তাবলিগ ফেরত ব্যক্তিদের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষ তাদের এড়িয়ে চলছে। দেখা মাত্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে খবর দিচ্ছে। 

পরে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে বাড়ি গিয়ে কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা জানানোর পাশাপাশি পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে নিজ ঘরে ১৪দিন অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বিশ্বময় মহামারী রূপ ধারণ করা করোনাভাইরাসের আগ্রাসী অবস্থা তুলে ধরে তাদের মধ্যে এর উপসর্গ দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেন। 

তাবলিগ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে জানিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিশ্বের পরিস্থিতি ও দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা তুলে ধরে ঘরের মধ্যে আগামী ১৪ দিন সঙ্গরোধ করে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছি। একই সঙ্গে পরিবারের কারো, জ্বর, সর্দি, কাশি ও মাথা ব্যথা হলে হাসপাতালের নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়া তাদের মসজিদে নামাজ আদায় না করে বাড়িতে নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।’