গোয়াইনঘাটে আধুনিক যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা শুরু

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি


এপ্রিল ১৬, ২০২০
০১:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১৬, ২০২০
০১:০৪ পূর্বাহ্ন



গোয়াইনঘাটে আধুনিক যন্ত্র দিয়ে ধান কাটা শুরু

মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘরবন্দি থাকা সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাবাসীর জন্য এসেছে একটি সুসংবাদ এসেছে। এবার গোয়াইনঘাট উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তোলার পালা। মহামারী করোনাভাইরাসে সৃষ্ট এই দুর্যোগের সময়ে কৃষকদের ঘরে ঘরে এই আনন্দের সংবাদ নিয়ে এসেছে বোরো ফসল।

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন হাওরসমূহে রোপিত ৭ হাজার ৭শ ৯০ হেক্টর বোরো ফসল এখন ঘরে তোলার সময় এসেছে। বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে পাকা বোরো ধান কাটা চলছে। ইতোপূর্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩ হাজার ৩শ হেক্টর বোরো ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। পুরোপুরি ধান কাটা শেষ হলে কৃষক পরিবারগুলোতে খাদ্য ঘাটতি হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গোয়াইনঘাটের ক্ষেতসমূহে রোপিত অবশিষ্ট ধান কাটা ও শ্রমিক সংকটে ক্ষেতে থাকা ধান বিনষ্টের হাত থেকে রক্ষায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।

আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) গোয়াইনঘাট উপজেলার কৃষি বিভাগ আকস্মিক বন্যা, কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় শতকরা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলে তা কাটার জন্য পরামর্শ দিয়ে প্রচার চালিয়েছে। কৃষকদের দ্রুত ধান কাটতে কৃষি শ্রমিকের পাশাপাশি কম্বাইন্ড হারভেস্টারের (ধান কাটার আধুনিক যন্ত্র) মাধ্যমে ধান কাটার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে এ বছর সববরাহকৃত যন্ত্রের মাধ্যমে ধান কর্তনের উদ্বোধন করেন গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুস সাকিব। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্লকের এসএএও মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ। 

সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সমবেত কৃষকদের উদ্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকার দ্রুত বোরো ধান কর্তনের জন্য কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে কম্বাইন্ড হারভেস্টার সরবরাহ করছে। কৃষকদের কল্যাণে সরকারের সবধরণের সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। কৃষকদের ধান কাটার সুবিধার্থে গোয়াইনঘাট উপজেলায় ৯টি সচল কম্বাইন্ড হারভেস্টার রয়েছে।

এ সময় তিনি মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সকল কৃষককে সরকার নির্দেশিত নিয়ম মেনে সাবধানে কাজ করার অনুরোধ জানান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সুলতান আলী বলেন, হাওর এলাকাসহ যেখানে বোরো ধান আছে, সেখানে ধান ৭০-৮০ ভাগ পেকে গেলে দ্রুত কর্তন করে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।

কেউ যদি কৃষি শ্রমিক না পান এবং কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে চান, তাহলে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

 

এমএম/আরআর