উজ্জ্বল ধর, ওসমানীনগর
এপ্রিল ১৭, ২০২০
১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ১৭, ২০২০
১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ১০৯ জন শিক্ষক ও কেয়ারটেকার গত তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিনযাপন করছেন তারা। দ্রুত বেতন-ভাতা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকগণ।
জানা যায়, শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন আসে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকল্পের মেয়াদ গতবছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়। প্রকল্পটি আবার পাশ হলে বেতন-ভাতা দেওয়া হবে বলে শিক্ষকদের আশ্বাস দেওয়া হলে শিক্ষকগণ তাদের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারের সকল নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছেন।
কিন্তু গত তিন মাসেও প্রকল্পটি পাশ না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদেরকে ফাউন্ডেশনের যেকোনো আর্থিক খাত থেকে সহযোগিতা করা সময়ের দাবি। পাশাপাশি তাদেরকে ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতারও দাবি জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ওসমানীনগর উপজেলাধীন সহজ কুরআন শিক্ষার শিক্ষক ৬৫ জন, প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষক ৩৭ জন, বয়স্ক শিক্ষার শিক্ষক ১ জন ও দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক ৪ জন। এছাড়া মডেল কেয়ারটেকার ১ জন ও সাধারণ কেয়ার টেকার রয়েছেন ২ জন। ১০৯ জন শিক্ষক ও কেয়ারটেকাররা তাদের তিন মাসের বেতন-ভাতাদি পাননি।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ওসমানীনগর উপজেলার মডেল কেয়ারটেকার কাজী খলিলুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘বলতেও পারছি না, সইতেও পারছি না। পায়ের নিচে মাটি নেই (প্রকল্প পাশ হলো না)। কবে নাগাদ পাশ হবে তাও কেউ বলতে পারে না। মডেল কেয়ারটেকার, সাধারণ কেয়ারটেকার ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দের বেতন নেই, নেই কোনো সরকারি বা বেসরকারি সাহায্য। আজ তৃতীয় মাস শেষ হয়ে চতুর্থ মাস চলছে। বেতনের কথা বলা মানে বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। এভাবে এই বিপদে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে কিভাবে চলতে পারি কেউ কি বলতে পারেন? অভাব যখন দুয়ারে দাঁড়ায়, বিবেক তখন ঠিক থাকে না। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আর তো চলতে পারছি না!’
এ ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, আসলে বিষয়টি দুঃখজনক। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। প্রকল্পটি আবার একনেকের বৈঠকে পাশ হলেই তারা বকেয়াসহ বেতন পাবেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে অন্যভাবে তাদের কিছু সহযোগিতা করা যায় কি না চেষ্টা করছি।
ইউডি/আরআর
