বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৭, ২০২০
০৭:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২০
০৭:২৬ অপরাহ্ন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বর্ষা জাহান (Borsha Jahan)’ নামের একটি আইডি থেকে ‘ত্রাণের চাল আত্মসাৎ’ করার মিথ্যা অভিযোগ এনে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফজর আলীর বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো বা মিথ্যা অপপ্রচারের ঘটনায় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে ফজর আলী মেম্বার বাদী হয়ে মামলাটি (মামলা নং ২২) দায়ের করেন।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ইলামেরগাঁও গ্রামের মৃত মহর উল্লাহর পুত্র ইসলাম উদ্দিন, সদর ইউনিয়নের বিদায়সুলপানি গ্রামের আরশ আলীর পুত্র আবদুল করিম, দৌলতপুর ইউনিয়নের বাহাড়া দুবাগ গ্রামের মৃত সাকির মিয়ার পুত্র জুবেল মিয়া, চরচন্ডি গ্রামের সিকন্দর আলীর পুত্র ছালিক মিয়া। অভিযুক্তদের মধ্যে মামলার প্রধান অভিযুক্ত ইসলাম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে ফেইস বুকে ‘বর্ষা জাহান (Borsha Jahan)’র নামীয় আইডি থেকে উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফজর আলীর ছবিসহ সরকারি ত্রাণের চাল আতœসাৎ-এর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট একটি পোস্ট করা হয়। উদ্দেশ্য প্রনোদিত পোস্ট নিয়ে সাথে সাথেই শুরু হয় তোলপাড়। আর বুঝে, না বুঝে মিথ্যা অপপ্রচারের পোস্টটি লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি ছড়িয়ে দেন চারিদিকে। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে আইনের আশ্রয় নেন ফজর আলী মেম্বার। বর্ষা জাহান -এর আইডি থেকে গুজবের ওই পোস্টে উল্লেখ করা হয়ে ‘চলমান করোনা সংকটে দুস্থদের দেয়া সরকারি চাল ফজর আলী মেম্বার আত্মসাৎ করেছেন। র্যাব তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে ত্রাণের চাল।’
অথচ সরকারি বরাদ্ধের পাশাপাশি গত ৮ এপ্রিল ফজর আলী মেম্বার তার নিজ (২নং) ওয়ার্ডের ৪ শতাধিক ব্যক্তিকে একান্তই ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাল বিতরণ করেছেন।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ ফজর আলী মেম্বারের মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম মুসা বলেন, এঘটনায় ইসলাম উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর সাথে জড়িত অন্যান্যদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।