দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ০১, ২০২০
০৭:১৭ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ০১, ২০২০
০৮:১১ অপরাহ্ন



দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে

দক্ষিণ এশিয়ায় হঠাৎ করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত করা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। এর পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্ত হয়েছিল প্রায় সাড়ে তিন হাজার। 

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে যে দেশগুলোতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। দেশগুলোর শীর্ষ স্থানীয় গণমাধ্যম, যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেমস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও করোনা মহামারির সার্বক্ষণিক তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত। দেশটির দৈনিক পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার হিসাব অনুসারে, ভারতে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ। আর সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৯ হাজার রোগী। দেশটির সরকারি হিসাব অনুসারে, গতকাল থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে ১ হাজার ৭০০ বেশি। এ পরিস্থিতিতে পুরো দেশ থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে আলোচনা চলছে।

পাকিস্তান গত বুধবার থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার। দেশটির দৈনিক পত্রিকা ডন–এর হিসাব অনুসারে, মোট রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজারের বেশি। মারা গেছেন প্রায় সাড়ে তিন শ মানুষ। এরপরও পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ ওমর দাবি করেছেন, দেশটির করোনা–পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। ইউরোপে করোনার বিস্তারের ধরন ও পাকিস্তানের ধরন আলাদা। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন, দেশটির আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা বেশি। 

পাকিস্তানে করোনা মোকাবিলায় ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। গতকাল তিনি বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে যদি কেউ এক রুপি দেন, তবে সরকার এই তহবিলে চার রুপি দেবে। অর্থাৎ জনগণের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের চার গুণ দেবে সরকার। তিনি আরও বলেন, ‘আমি দিনমজুর ও শ্রমিকদের নিয়ে সংশয়ে আছি।’

রোগীর সংখ্যায় পাকিস্তানের পরে বাংলাদেশের অবস্থান। এরপর রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটিতে চিহ্নিত সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আফগানিস্তানের পরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যায় প্রায় সাড়ে ছয় শ। দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে বলেছেন, সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রোগী বাড়ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

শ্রীলঙ্কায় নৌবাহিনীর ভেতরে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। গত বুধবার এই বাহিনীর ২২ জন সদস্যকে কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডার সেভেন্দ্রা সিলভা এ তথ্য জানিয়েছেন। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে মালদ্বীপে এই প্রথম একজন কোভিড-১৯ রোগী মারা গেছেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪০০। দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ জন। এ ছাড়া নেপাল ও ভুটানে এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। দেশ দুটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ৫৭ ও ৭।

 

এনপি-০৮