করোনা চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে রেমডেসিভির অনুমোদন

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ০২, ২০২০
১০:২০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ০২, ২০২০
১০:২১ পূর্বাহ্ন



করোনা চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে রেমডেসিভির অনুমোদন

মহামারি করোনাভাইরাসের ওষুধ হিসেবে রেমডেসিভির নামক একটি ওষুধ জরুরি অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনা চিকিৎসার জন্য প্রথম কোন ওষুধকে অনুমোদন দিল দেশটি। ব্রিটেন ভিত্তিক গণমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় অনুযায়ী শুক্রবার (১ মে) হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) জিল্যাড সায়েন্স ইঙ্কের তৈরি রেমডেসিভির ওষুধটিকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য অনুমোদন দিয়েছে।

জিল্যাড সায়েন্সের প্রধান নির্বাহী ডেনিয়েল ও'ডে বলেছেন, কোভিড-১৯ রোগ মোকাবিলায় এফডিএ'র এ সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তিনি বলেন, তার কোম্পানি রোগীদের সাহায্য করতে ওষুধটির ১৫ লাখ বোতল সরবরাহ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা এই ওষুধটির কার্যকারিতা নিয়ে আশাবাদী মন্তব্য করার দুই দিন পর এফডিএ এই জরুরি অনুমোদন দিল। বুধবার হোয়াইট হাউজের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এ ওষুধ প্রয়োগ করার ফলে ৩০ শতাংশ রোগী খুব দ্রুত সেরে উঠছেন। রেমডেসিভির প্রয়োগে রোগীর সুস্থ হওয়ার সময় ১৫ দিন থেকে ১১ দিনে নেমে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি এস ফাউসি এ ওষুধটির ব্যাপারে বলেছেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাওয়া তথ্য দেখা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, করোনা থেকে দ্রুত সেরে ওঠার ক্ষেত্রে রেমডেসিভির কার্যকর।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়া নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। তবে জাপানের অ্যাভিগানসহ কিছু ওষুধ কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় কার্যকর বলে নানা সময়ে জানা গেছে। এসব ওষুধ এখনও ট্রায়ালের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তবে এবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলতি অবস্থায় এই প্রথম কোন ওষুধ করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় অনুমোদিত হল।

এ প্রতিবেদন লেখা অবধি নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ লাখ ছুঁই ছুঁই। এ পর্যন্ত ভাইরাসটির সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ও আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি আক্রান্ত ও প্রায় ৬৫ হাজার প্রাণহানি হয়েছে।

এএফ-০৬