করোনা থেকে সুস্থ হলো জামালগঞ্জের দুই কিশোরী

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি


মে ১৫, ২০২০
০২:২০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৫, ২০২০
০২:৩১ পূর্বাহ্ন



করোনা থেকে সুস্থ হলো জামালগঞ্জের দুই কিশোরী

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ১২ বছরের দুই কিশোরী সুমাইয়া আক্তার ও সুলতানা আক্তার মীম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে তাদের হাতে ফুলের তোড়া ও উপহারসামগ্রী তুলে দিয়ে তাদেরকে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব। পরে অভিভাবকদের মাধ্যমে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়।

জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে দক্ষিণ কামলাবাজ গ্রামের তাহের মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার ও একই গ্রামের মৃত রেজন আলীর মেয়ে সুলতানা আক্তার মীমের পরিবার। ঢাকাফেরৎ দুই পরিবারের খবর এলাকায় চাউর হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম সোহেল তা প্রশাসনকে অবগত করেন। পরে প্রশাসন তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়ে বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে দেয়। এর দুইদিন পর আক্রান্ত দুই পরিবারের সদস্যসহ ১০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গত ২৩ এপ্রিল এ দু’জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে পরদিন তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে পাঠানো হয়। ১৪ দিন সেখানে থাকার পর পুনরায় তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালে আক্রান্ত দু’জনই করোনামুক্ত বলে রিপোর্ট আসে। পরে সুস্থ সুমাইয়া ও সুলতানাকে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীনা রানী তালুকদার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মঈন উদ্দিন আলমগীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম জিলানী আফিন্দী রাজু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এরশাদ হোসেন, উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. ওয়ালী উল্লাহ সরকার, ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. মঈন উদ্দিন আলমগীর জানিয়েছেন, আক্রান্ত ৩ জনের মধ্যে ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। করোনা মোকাবেলায় জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করোনাকালীন স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রেখেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত উপজেলার ১৪৯ জনের নমুনা ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এ তিনজনের দু’জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল। আক্রান্ত অপরজন আইসোলেশনে আছেন।

 

বিআর/আরআর