বড়লেখায় সরকারিভাবে বোরো ধান ক্রয় শুরু

বড়লেখা প্রতিনিধি


মে ১৫, ২০২০
০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৫, ২০২০
০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় সরকারিভাবে বোরো ধান ক্রয় শুরু

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার খাদ্য গুদাম প্রাঙ্গণে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ। এদিন সরকারিভাবে তিনজন কৃষকের থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান ক্রয় করা হয়।

ধান ক্রয় নিয়ে কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না জানিয়ে এ সময় সোয়েব আহমদ বলেছেন, বিশৃঙ্খলা হলে উপজেলা প্রশাসন থেকে এটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এছাড়া কোনোভাবে কৃষককে হয়রানি করা যাবে না। খাদ্যবিভাগকে সেভাবেই কাজ করতে হবে। হয়রানির কারণে কৃষকরা আগ্রহ হারালে সুযোগ পাবে মধ্যস্বত্বভোগীরা। গুদামে এলে কৃষককে ভালো পরামর্শ দেবেন। সরকার কৃষককে প্রণোদনা দিচ্ছে। কৃষককে সবধরণের সহযোগি করবেন। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোস্তাক আহমদের সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আর ইমরান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিটন শরীফ, আব্দুর রব, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক সূত্রধর, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পলাশ দত্ত ও সুবিনয় দাস। পরে কৃষক সুধাংশু রঞ্জন দাসের ১ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়।

এর আগে গতকাল বুধবার (১৩ মে) দুপুরে লটারিতে বোরো ধান বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৩১ জন কৃষকের মধ্য থেকে ৭৪৩ জনকে বাছাই করা হয়। প্রান্তিক, মাঝারি ও বড় শ্রেণিতে কৃষকদের আলাদা করে লটারি করা হয়। সরকারিভাবে ধান কেনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেতে লটারির মাধ্যমে কৃষক বাছাই হয়। কৃষি ও খাদ্য বিভাগ বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারিভাবে বড়লেখায় এবার কৃষকের কাছ থেকে ৭৪৩ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। ২৬ টাকা কেজি দরে সরকার প্রতি টন ধান ক্রয় করছে ২৬ হাজার টাকায়। একজন কৃষক সর্বনিম্ন ৩ বস্তা (১২০ কেজি) থেকে সর্বোচ্চ ১ মেট্রিক টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ৪০ টাকা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষক যাতে ধান বিক্রি করতে পারেন এ জন্য মাঠ পর্যায় থেকে তালিকা তৈরি করা হয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে উন্মুক্তভাবে লটারিতে কৃষক বাছাই করা হয়েছে। নির্বাচিত কৃষক ব্যতিত কেউ ধান বিক্রয় করতে পারবেন না। এবার ১০টি ইউনিয়ন মিলিয়ে বোরো আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫শ ৭৫ হেক্টর। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৪শ ৬৮ হেক্টর। কৃষি বিভাগের তৎপরতায় ১০৭ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়। উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন বোরো ধান।

 

এজে/আরআর