করোনার নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহ নেই কমলগঞ্জবাসীর

সজীব দেবরায়, কমলগঞ্জ


মে ২০, ২০২০
০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২০, ২০২০
০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন



করোনার নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহ নেই কমলগঞ্জবাসীর
উপজেলায় মাত্র ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় করোনার সংক্রমণে মারা গেছেন এক বৃদ্ধ চা শ্রমিক। আর করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ জনের। পৌনে ৩ লাখ অধিবাসীর এ উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা করেছেন মাত্র ২৪০ জন। ভয় আর সামাজিক সমস্যা হতে পারে বলে কমলগঞ্জের মানুষজনের মাঝে করোনার নমুনা পরীক্ষার আগ্রহ কম।

গত ২৭ এপ্রিল রাতে করোনার সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলীনগরের ফাঁড়ি চা-বাগান সুনছড়ার চৈতু কর্মকার। এরপর গত ১ মে করোনায় আক্রান্ত হন সোনালী ব্যাংক ভানুগাছ শাখার এক কর্মকর্তা ও এক নিরাপত্তাকর্মী। এর দুইদিন পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন সোনালী ব্যাংক ভানুগাছ শাখার এক পিয়ন, কমলগঞ্জ পৌরসভার ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকার এক বৃদ্ধ ও কমলগঞ্জ সদর ইউনয়িনের বাদে উবাহাটা গ্রামের আরেক বৃদ্ধ। এরপর কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই কর্মচারী ও কমলগঞ্জের শমশেরনগর বাজারের সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের এক নার্স করোনায় আক্রান্ত হন। সব মিলিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন।

আর এ পর্যন্ত কমলগঞ্জ উপজেলার ব্যাংক, সরকারি অফিস, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধি মিলিয়ে মাত্র ২৪০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন।

উপজেলার প্রায় সকল হাট-বাজারে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অবাধে হাজার হাজার মানুষজন আসছেন ও কেনাকাটা করছেন। দোকানপাট ও কেনাকাটার মানা হচ্ছে না কোনো প্রকার সামাজিক দূরত্ব। ধারণা করা হচ্ছে, যেভাবে অবাধে হাজার হাজার মানুষ হাট-বাজার করছেন, তাতে পর্যায়ক্রমে সবার নমুনা পরীক্ষা করলে আরও অনেকের শনাক্ত হতে পারে।

বাজারে আসা অনেকে নাম প্রকাশ না করে বলেন, তাদের ভয় যদি করোনা শনাক্ত হন তাহলে পরিবারসহ সামাজিকভাবে আলাদা হয়ে সমাজে হেয় হতে পারেন। সে জন্য তারা করোনার নমুনা পরীক্ষা করছেন না।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, জেলার সাত উপজেলার মাঝে কমলগঞ্জ উপজেলায় করোনার নমুনা পরীক্ষার হার ভালো। নমুনা সংগ্রহে কমলগঞ্জে কোনো সমস্যা নেই। যারাই নমুনা দিতে আসবেন, তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

তিনিও মনে করেন, ভয়ে ও সামাজিক কিছু সমস্যার আশঙ্কায় হয়তো কমলগঞ্জের মানুষজন করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে আগ্রহ পাচ্ছেন না।

 

এসডি/আরআর-০৬