নবীগঞ্জের দুই মুক্তিযোদ্ধাকে নতুন বাড়ি দিল সেনাবাহিনী

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি


মে ২৪, ২০২০
০৪:০৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২৪, ২০২০
০৪:০৩ পূর্বাহ্ন



নবীগঞ্জের দুই মুক্তিযোদ্ধাকে নতুন বাড়ি দিল সেনাবাহিনী

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দুস্থ গৃহহীন দুই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বাসস্থান উপহার দেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রধানের উপহার হিসেবে নবীগঞ্জের দুই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নতুন ঘর তৈরি করে দিয়ে আজ শনিবার (২৩ মে) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে নতুন ঘরের দলিলপত্র ও চাবি হস্তাস্তর করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এ এস এম শিহাবুজ্জামান শিহাবের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক (অবঃ) মিজাজ উল্লাহ এবং বাশডর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্পোরাল (অবঃ) আমরু মিয়ার হাতে ঘরগুলোর দলিলপত্র ও চাবি হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল, গজনাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল, সাংবাদিক এম এ মুহিত, বাংলা টিভির প্রতিনিধি মতিউর রহমান মুন্না, জয়যাত্রা টিভির প্রতিনিধি ছনি চৌধুরী প্রমুখ।

এদিকে দুস্থ গৃহহীন দুই মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে নতুন ঘর পেয়ে খুবই আনন্দিত। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজন জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকার কোনো ঘর ছিল না। খুব কষ্ট করে থাকতে হয়েছে তাঁদের। বর্তমানে সেনাপ্রধানের উপহার হিসেবে যে ঘরটি পেয়েছেন, তা তাঁদের কাছে মহামূল্যবান উপহার। যতদিন বেঁচে থাকবেন, পরম মমতায় ঘরটিকে আগলে রাখবেন তাঁরা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক (অবঃ) মিজাজ উল্লা জানান, তিনি কখনও স্বপ্নেও ভাবেননি জীবনের শেষ বয়সকাল এতটা ভালোভাবে কাটাতে পারবেন। একটি ঘরের তাঁর বড়ই প্রয়োজন ছিল।

এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এ এস এম শিহাবুজ্জামান শিহাব বলেন, এই ঘরগুলো তাঁদের ঋন পরিশোধের জন্য দেওয়া হচ্ছে না। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের ঋণ কখনও পরিশোধ করা যাবে না। তাঁরা যাতে পরিবার নিয়ে শান্তিমতো থাকতে পারেন, এ জন্যই মাননীয় সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই উপহার প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আমাদের ইতিহাসকে সম্মান করতে না জানি, তাহলে কখনওই আমাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ হবে না। তাই এই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে, তাদেরকে আমাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে।

 

এএম/আরআর-০৬