সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ২৮, ২০২০
১০:০৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৮, ২০২০
১০:০৫ পূর্বাহ্ন
ভারতীয় নাগরিকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন বাংলাদেশী নাগরিক লোকমান হোসেন (৩২)। গরুচোর অপবাদ দিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লোকমান হোসেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মালঞ্চপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে। বিজিবি-বিএসএস এর মাঝে একাধিকবার মিটিং শেষে ঘটনার ৫ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লোকমানের লাশ দেশে আসবে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মোহনপুর এলাকায় তার ফুফুর বাড়ি যাচ্ছিলেন লোকমান। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের গোপালনগর পৌঁছাতেই এক দল ভারতীয় নাগরিক লোকমান হোসেনকে পথরোধ করে গরুচোর সন্দেহে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এ সময় সে চোর না; বেড়াতে এসেছে এমন আকুতি বার বার জানালে ও পাষন্ডদের মন গলেনি। এলোপাপাড়ি পিটুনিতে তার মৃত্যু হয়। ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে লোকমানের আকুতির ভিডিও প্রচার হয়েছে। তবে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তার মৃত্যুর খবর ত্রিপুরার গণমাধ্যম সম্প্রচার করে। মৃত ভেবে ভারতীয়রা লোকমানকে বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে একটি জঙ্গলে ফেলে রাখে।
খবর পেয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের সিধাই থানা পুলিশ মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার কওর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে লোকমানের মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক হয় ১৯৯৪/৪ এস পিলারের কাছে বাংলাদেশের মোহনপুর নামক স্থানে। ভারতের পক্ষে বিএসএফ এর ১২০ ব্যাটালিয়নের মোহনপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার ইন্সপেক্টর শশি কান্ত ও বাংলাদেশের পক্ষে নেত্বত্ব দেন ৫৫ বিজিবির ধর্মঘর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন।
বৈঠকে জানানো হয়, বুধবারই ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের মোহনপুর সীমান্ত দিয়ে লাশ হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু ভারতীয় পুলিশ ময়না তদন্ত, সুরতহাল রিপোর্ট আনুসাংগিক কাগজপত্র ছাড়া লাশ হস্তান্তর করতে চাইলে বাংলাদেশের বিজিবি-পুলিশের প্রতিনিধিরা অস্বীকৃতি জানায়।
বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবির ধর্মঘর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার দেলোয়ার হোসেন জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় লোকমানের লাশ ভারত হস্তান্তর করবে।
নিহতের পরিরার সূত্র জানায়, লোকমান মিয়া বাড়ির পাশ দিয়ে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের মোহনপুরে তার ফুফুর বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে ভারতীয় নাগরিকদের রোষাণলে পড়ে নির্মমভাবে খুন হন তিনি।
নিহতের ছোট ভাই হুমায়ুন মিয়া বলেন, ‘আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’ হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।
এনপি-০৬