সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ২৯, ২০২০
০৫:১১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৯, ২০২০
০৫:৩১ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কানাইঘাট সীমান্তবর্তী লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন সম্পূর্ণ বন্ধের জন্য কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খান, থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএমকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আজ ২৮ মে (বৃহস্পতিবার) উপজেলা প্রশাসনের চিঠির সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত একমাত্র পাথর কোয়ারী লোভাছড়া পাথর মহাল। পাথর কোয়ারীটি ১৪২৬ বাংলা সনের ১৩ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত সময়ে ইজারার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলে ১৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখ থেকে পাথর কোয়ারীর ইজারা বিহীন অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে সব ধরনের পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে বিশেষ ভাবে অনুরোধও জানান তিনি।
চিঠির অনুলিপি জেলা প্রশাসক সিলেট, পুলিশ সুপার সিলেট ও পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান বলেন, লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর ইজারার মেয়াদ গত ১৩ এপ্রিল শেষ হওয়ার কারনে কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন সম্পূর্ণ বন্ধের জন্য সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল হক স্যারের নির্দেশে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে এ সংক্রান্ত আদেশের চিঠি দেওয়া হয়েছে। খনিজ সম্পদ ব্যুারো ও সিলেটের জেলা প্রশাসক স্যারের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রম কেউ করতে পারবেন না। সরকারি রাজস্ব কেউ ব্যাহত করলে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম জানান, লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে পাথর উত্তোলন, পরিবহন ও বিপণন বন্ধ সংক্রান্তে চিঠি আমরা পেয়েছি। থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর রয়েছে।
প্রসজ্ঞত , লোভাছড়া পাথর কোয়ারী এলাকায় কয়েক শত কোটি টাকার পাথর মজুদ রয়েছে। এসব পাথর বর্ষা মৌসুমে লোভা ও সুরমা নদীতে জোয়ার নামার পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় লঞ্চ, স্টীমার, বলগেট ও কার্গো যোগে সাপ্লাই করা হয়। বর্তমানে করোনা মহাদুর্যোগকালীন সময়ে কোয়ারীতে দেশের বিভিন্ন এলাকার পাথর শ্রমিকদের জড়ো করে কার্গো, বলগেট ও ইঞ্জিনচালিত নৌযানে পাথর বোঝাই করার কাজ শুরু করায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় পাথর কোয়ারীতে সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য সচেতন মহল দাবী জানিয়ে আসছেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এমআর/বিএ-১৫
