জুড়ীতে নদীগর্ভে রাস্তা, দুর্ভোগে পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ

সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার


মে ৩০, ২০২০
১২:৫৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ৩০, ২০২০
১২:৫৮ পূর্বাহ্ন



জুড়ীতে নদীগর্ভে রাস্তা, দুর্ভোগে পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ

মৌলভীবাজারের নদ-নদীগুলোর অন্যতম জুড়ী নদী। নদীর পাড়েই বেলাগাঁও গ্রাম। এ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের রাস্তা হলো নদীর পাড়। গত কয়েকবছর থেকে নদীভাঙনের ফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বেলাগাঁও গ্রামের পূর্ব পাড়ের রাস্তা। ফলে ৫ হাজার মানুষের যাতায়াতে ঘটছে বিঘ্ন। রাস্তা নদীতে ধসে পড়ার কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক ঘরবাড়ি।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিবছর বর্ষাকালে উজান থেকে নেমে আসা ঢল নদীস্রোতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিলে এবং বন্যার কারণে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ ধসে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ অবস্থায় এলাকার লোকজন মিলে প্রতিবছর তাদের নিজ অর্থায়নে নৌকাযোগে মাটি ভরাট করে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন।

এ রাস্তা ব্যবহার করে প্রতিবছর হাকালুকি হাওর থেকে ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল উৎপাদন করে থাকেন জুড়ীর অধিকাংশ কৃষক। অন্যান্য বছরের মতো এবারও শীতকালে তাদের নিজ অর্থায়ন ও পরিশ্রমে মাটি ভরাট করে রাস্তাটি সংস্কার করলেও নদীস্রোত বেড়ে যাওয়ায় গত ৪/৫ দিন থেকে রাস্তার বিভিন্ন অংশ নদীতে ধসে পড়তে শুরু করে। রাস্তার কোনো কোনো অংশের পুরোটাই নদীতে ধসে গেছে। রাস্তাটির আরও অনেক জায়গা ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এতে যাতায়াত ও নদীর পাড়ে থাকা বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

আজ শুক্রবার (২৯ মে) সকালে গ্রামের বাসিন্দা কামাল আহমেদ ও হাবিব চৌধুরীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, যে রাস্তা দিয়ে কয়েকদিন আগেও আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারতাম, সেই রাস্তা আজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছি। এই রাস্তাটি যদিও আমরা নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করেছি, কিন্তু এই অসময়ে ভেঙে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

জুড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক বলেন, আমি গতকাল সারাদিন ওই জায়গায় ছিলাম। সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি। এই মুহূর্তে সরকারিভাবে কিছু করা যাচ্ছে না। তাই আমি নিজে থেকে আজ কিছু বস্তা ক্রয়ের জন্য পাঠিয়েছি। যাতে আপাতত এই বস্তাগুলোর ভেতরে রাবিশ দিয়ে ভাঙনে দেওয়া যায়। এতে কিছুটা হলেও ভাঙন রোধ হবে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দুইজন ইঞ্জিনিয়ারকে জুড়ীতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে তারা পরিদর্শন করে মাপ নিয়ে আসবেন। আমরা নকশা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করে দেব।

তিনি বলেন, বর্ষাকালে তো স্থায়ী কাজ করা যায় না, তাই আপাতত যাতে ভাঙন রোধ করা যায় সে ব্যবস্থা নেব।

 

এসএইচ/আরআর-০৪