নবীগঞ্জে নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি


মে ৩০, ২০২০
০১:৫৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ৩০, ২০২০
০১:৫৮ পূর্বাহ্ন



নবীগঞ্জে নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

অভিযুক্ত কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম

চলমান করোনাভাইরাসের সংকটে সরকারি সহায়তার জন্য তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযোগে জানা গেছে, তালিকায় নিজের স্বামী, ভাই, ভাবী ও তাদের মেয়ের নামসহ ৬ জন আত্মীয়ের নাম দিয়েছেন তিনি।

নবীগঞ্জ পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর কর্তৃক তৈরিকৃত সরকারি ত্রাণ সহায়তার অগ্রাধিকার তালিকায় এই চিত্র পাওয়া গেছে। এই তালিকা তৈরি করেছেন অভিযুক্ত নারী কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম।

এ ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির ওই ওয়ার্ডের এক নেতা।

নবীগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড বিএনপির নেতা রমিজ উল্লাহ তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ওই ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম তার নিজ পরিবারের ৬ জনের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং সরকারের এই অর্থ সহায়তার সুবিধা ভোগ করেছেন। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে কাউন্সিলর রোকেয়া বেগমের স্বামী রাজু আহমেদ, তার মেয়ে রুবি বেগম, আপন ভাতিজি মেহের জাহান আক্তার, ভাবী জামিনা বেগম, ভাই রুবেল মিয়া ও ভাবী হালেমা বেগমের নাম। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।

রমিজ উল্লাহ তার লিখিত অভিযোগে আরেও উল্লেখ করেন, তাদের ওয়ার্ডের অনেক কর্মহীন অসহায় গরিব পরিবার থাকার পরও নারী কাউন্সিলরের পরিবারের ৬টি নাম অন্তর্ভুক্ত করায় এলাকাবাসীর মধ্য তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়মের অভিযোগটি দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানান তিনি। 

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বক্তব্য নিতে কাউন্সিলর রোকেয়া বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর রোকেয়া বেগমের তালিকায় রমিজ মিয়ার নাম ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার জায়গায় তারই বড় ভাই তমিজ মিয়ার নাম ওঠায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বিজত কুমার পাল জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এএম/আরআর-০৫