করোনায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও প্রণোদনার তালিকায় ঠাই হয়নি মাধ্যমিক শিক্ষকদের

সোহেল তালুকদার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ০১, ২০২০
১১:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০১, ২০২০
১১:১৬ অপরাহ্ন



করোনায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেও প্রণোদনার তালিকায় ঠাই হয়নি মাধ্যমিক শিক্ষকদের

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া ৫০ লাখ মানুষকে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায়ও এই প্রনোদনার উপকারভোগীদের নাম যাচাই বাছাইয়ের জন্য চেয়ারম্যান মেম্বারদের পাশাপাশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকদের দেয়া হয়েছে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রকৃত উপকারভোগীদের যাচাই বাছাই করেছেন তারা। 

করোনার মধ্যে যারা ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছেন তাদের তালিকা চেয়েছে সরকার। কিন্তু একই সঙ্গে ট্যাগ অফিসার হিসেবে কাজ করেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যারা উপকারভোগী বাচাইয়ে কাজ করেছেন তাদের নামের তালিকা পাঠানোর কথা থাকলেও এককভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। এতে মাধ্যমিক  ও মাদরাসা শিক্ষককরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, হয়েছেন স্তম্ভিত আর হতবাক। দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

মাধ্যমিক শিক্ষকদের অনেকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, সরকারি প্রনোদনা বড় কথা নয় আমরা যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি অন্তত তার স্বীকৃতি চাই। দুঃখের বিষয় একসঙ্গে কাজ করেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে কিন্তু আমরা হয়েছি বঞ্চিত। আমাদের আকুল আবেদন আমাদের কথা বিবেচনা করে যেন একটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমাদের যেন প্রধানমন্ত্রীর প্রনোদনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, একই সঙ্গে কাজ করেও আমাদের নামের তালিকা যায়নি। আমরা আর কিছু না হোক অন্তত আমাদের মূল্যায়নঠুকু চাই। 

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিজাম উদ্দিন খান বলেন, আমরা আমাদের কাজের স্বীকৃতি চাই। আমরা এক্ষেত্রে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমাদের কাছে চিঠি এসেছে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তালিকা দিতে আমরা দিয়েছি। আমাদের কাছে  মাধ্যমিক ও মাদরাসা শিক্ষকদের তালিকা মন্ত্রণালয় থেকে চাওয়া হয়নি। কোন নির্দেশনা আসেলেই তারিকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, মাধ্যমিক  শিক্ষকদের বিষয়ে ডিসি স্যারকে জানিয়েছি, স্যার মন্ত্রণালয়ে জানাবেন, মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আসলেই তাদের তালিকা পাঠাব।

এসটি/বিএ-২০