কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের সহায়তা প্রদানে অনিয়ম

সজীব দেবরায়, কমলগঞ্জ


জুন ১৩, ২০২০
১২:৪০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৩, ২০২০
১২:৪০ পূর্বাহ্ন



কমলগঞ্জে চা শ্রমিকদের সহায়তা প্রদানে অনিয়ম

সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ২২টি চা-বাগানের দরিদ্র ৩ সহস্রাধিক চা শ্রমিক পরিবারের ৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। সম্প্রতি মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাংসদ উপাধ্যক্ষ এম এ শহীদ আনুষ্ঠানিকভাবে ২ হাজার ১শ ১৩ জন শ্রমিক পরিবারের মাঝে ৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন। চেক বিতরণের পর শ্রমিকদের তালিকা খতিয়ে দেখা যায়, শমশেরনগর ও কানিহাটি চা-বাগানে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ৭৪ জন শ্রমিকের নাম রয়েছে। তাছাড়া চা-বাগানের শ্রমিক তালিকায় রয়েছে বস্তির মানুষের নামও।

গত ৬ জুন শমশেরনগর, কানিহাটি, দেওছড়া, বাঘিছড়া ও ডবলছড়া চা-বাগানের ৬০১ জন শ্রমিককে ৫ হাজার টাকা করে চেক প্রদান করা হয়। মোট ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা চেক বিতরণ করা হয়। শশেরনগর চা-বাগানের শ্রমিক তালিকা খতিয়ে দেখা যায়, এনআইডি নম্বর ৫৮১৫৬৮৫ এর বিপরীতে ১১০ নম্বর তালিকাভুক্ত সত্যনারায়ণ রাজভরের নাম রয়েছে। একই এনআইডির বিপরীতে রয়েছে আরও ৩০ জন শ্রমিকের নাম। একই তালিকায় শমশেরনগর শিংরাউলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক নুনু মিয়ার নামও রয়েছে। তাছাড়া তালিকাভুক্তদের অধিকাংশই চা-বাগানের নিবন্ধিত চা শ্রমিক নন। এমনকি আলীনগর চা-বাগানে মৃত ব্যক্তির নামেও চেক প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। কানিহাটি চা-বাগানের শ্রমিক তালিকায় এনআইডি নম্বর ৫৮১৫৬৮৫৯৫ এর পাশে মাখন বীনের নাম রয়েছে। একই আইডিতে রয়েছে আরও ৪২ জন শ্রমিকের নাম। আর এসব তালিকা তৈরি করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্যরা। তৈরি করা তালিকাগুলো যাচাই-বাছাই করে গতবছরের ২ নভেম্বর প্রতিস্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি, একজন চা-বাগান ব্যবস্থাপক ও ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ।

কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তালিকা তৈরি করেন জনপ্রতিনিধিরা। সে তালিকায় প্রতিস্বাক্ষর দেন বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি, একজন ব্যবস্থাপক ও ইউপি চেয়ারম্যান। এক্ষেত্রে সমাজসেবা বিভাগের করনীয় কিছু ছিল না।

কমলগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রানেশ চন্দ্র বর্মা বলেন, চেক বিতরণ করা হলেও সমাজসেবা বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে চেকের টাকা প্রদানে এখনও কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই কেউ এখনও চেকের টাকা উত্তোলন করতে পারেনি। আর এখন যেহেতু অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, সেহেতু এসব খতিয়ে দেখা হবে।

 

এসডি/আরআর-০৭