শর্তের কবলে আটকে আছে বাফুফের ১০ কোটি টাকা

খেলা ডেস্ক


জুন ১৫, ২০২০
১২:৪০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ১৫, ২০২০
১২:৪০ পূর্বাহ্ন



শর্তের কবলে আটকে আছে বাফুফের ১০ কোটি টাকা

অর্থমন্ত্রণালয়ের দেওয়া শর্তের কবলে আটকে আছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জন্য বরাদ্দকৃত ১০ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরের বাজেটে ফুটবলের জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার। এর মধ্যে ১০ কোটি টাকা বাফুফেকে প্রদানও করা হয়েছে। বাকি ১০ কোটি টাকা পায়নি দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ফুটবল ফেডারেশন আগের ১০ কোটি টাকা সঠিকভাবে বা শর্ত মেনে খরচ করেনি। তাই দ্বিতীয় কিস্তি পেতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। ‘টাকা দিলাম আর ১০ দিনের মধ্যে সব শেষ’ ব্যাপারটা এমন যাতে না হয়। এটা জানিয়ে গত ১০ জুন বাফুফেকে দেওয়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় এই বছরে কোনো সুনির্দিষ্ট কার্য পরিচালনার জন্য নয়। বরং এই তহবিল অথবা তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মুনাফা দীর্ঘ মেয়াদে ফুটবলে নানাবিধ উন্নয়নে ব্যয় করার লক্ষ্যে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ফুটবলকে প্রথম কিস্তির ১০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল মূলত সেটা কোথাও রেখে প্রাপ্ত আয় খরচ করতে। সেটা কীভাবে কী হয়েছে মন্ত্রণালয় দেখছে। এখন বাকি ১০ কোটি টাকা টুর্নামেন্ট আয়োজন বা এ-জাতীয় খাতে খরচ করা চলবে না। ফুটবল ফেডারেশনকে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।’ 

বাফুফে জানিয়েছে, আগের ১০ কোটি টাকার মধ্যে ৬৪টি জেলা ও ৮টি বিভাগকে ৬ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ৪৭টি ক্লাবে দেওয়া হয় দেড় কোটি টাকার মতো। জাতীয় দল ২ কোটি ৭৫ লাখ, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ৬৬ লাখ আয় করে ৫০-৫৫ লাখ খরচ। এ ছাড়া প্রিমিয়ার, বিসিএল এবং নারী ফুটবলেও টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু ফলপ্রসূ কোনো কাজে না লাগিয়ে জাতীয় দল, প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়নশিপ, মেয়েদের ফুটবল বা এ-জাতীয় নিয়মিত খাতে সরকারি বিশেষ বরাদ্দ খরচ কেন? এটা বড় প্রশ্ন। নারী ফুটবলে ইউনিসেফ ও ঢাকা ব্যাংক বছরে ৪ কোটি টাকার মতো দেয় বাফুফেকে। এরপরও নারী ফুটবলে সরকারি বিশেষ বরাদ্দ থেকে হাত দেওয়ার কারণ কী? এসব প্রশ্নে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আগের ১০ কোটি টাকা আমরা সরকারকে জানিয়েই খরচ করেছি। বাকি টাকা পেতে সরকার বলছে, টাকাটা দুই-তিন বছরব্যাপী খরচ বা আমানত রেখে লভ্যাংশ খরচ করতে। সরকারের চাহিদা মতো একটা সঠিক পরিকল্পনা সাত দিনের মধ্যে জমা দেব। আশা করছি ৩০শে জুনের মধ্যেই বাকি ১০ কোটি টাকা পেয়ে যাব।’ 

এএন/০৫