নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৮, ২০২০
১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১৮, ২০২০
০১:৫০ পূর্বাহ্ন
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হলো ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন।
এই সময়ে দেশে একদিনে ৪৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩০৫ জন।
বুধবার (১৭ জুন) দুপুর আড়াইটায় দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য বুলেটিনের অনলাইনে এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এ সময়ে আরও ১ হাজার ৯২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৯২৫ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তার দশ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
আগের দিন মঙ্গলবারের বুলেটিনে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৮৬২ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একদিন পর তা ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড হল। মঙ্গলবার ৫৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
নাসিমা সুলতানা বলেন, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ, ১৫ জন নারী। তাদের ২৭ জন হাসপাতালে, ১৫ জন বাড়িতে মারা গেছেন এবং ১ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
তাদের ২১ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং ১ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ২ জনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি, আর একজন দশ বছরের কম বয়সী এক শিশু। এছাড়া ৯ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের এবং ১ জনের বয়স ছিল ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬১টি ল্যাবের মধ্যে ৫৯টি ল্যাবে ১৭ হাজার ৫২৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৭১৮ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ১০ হাজার ৭৫২ জন রোগী।
বিএ-০৭