নবীগঞ্জে সুবিধাভোগীর তালিকায় এমপির অনুমোদন উপেক্ষিত, সমালোচনার ঝড়

নবীগঞ্জ সংবাদদাতা


জুন ২০, ২০২০
০৬:৩২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২০, ২০২০
০২:২৩ পূর্বাহ্ন



নবীগঞ্জে সুবিধাভোগীর তালিকায় এমপির অনুমোদন উপেক্ষিত, সমালোচনার ঝড়

নবীগঞ্জ পৌরসভার বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতার তালিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। চুড়ান্ত তালিকায় দেখা গেছে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ গাজীর অনুমোদিত তালিকা থেকে সিংহভাগ নাম কর্তন করে পৌর মেয়র তার পছন্দের অসংখ্য নাম দিয়েছেন। ওই তালিকা অনুযায়ী সমাজসেবা অধিদপ্তর ভাতার বই তৈরী করেছে। এ ঘটনায় রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

সুত্র জানায়, হবিগঞ্জ-১(নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের এমপি শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী নবীগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার সুবিধাভোগী অসহায় মানুষের জন্য প্রায় ৯ হাজার বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধি ভাতার বিশেষ বরাদ্ধ নিয়ে আসেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে। সে মোতাবেক নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বন্টন করতে তালিকা প্রস্তুত করেন। সে তালিকাগুলো অনুমোদন দিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দেন এমপি মিলাদ। ওই তালিকা গুলোর মধ্যে নবীগঞ্জ পৌরসভার প্রায় দুই শতাধিক বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধির নামের তালিকা উপজেলা সমাজসেবা অফিস স্থানীয় পৌরসভা কার্যালয়ে যাচাই বাছাই পুর্বক প্রেরণের জন্য পাঠান। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী এমপি মিলাদ গাজী প্রেরিত তালিকার প্রায় সিংহভাগ নাম বাদ দিয়ে তার পছন্দের লোকদের নাম উপজেলা সমাজসেবায় প্রেরণ করেন। তৎকালিক সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল নুর মেয়রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই তালিকা অনুমোদন দিয়ে বই তৈরী করেন।

বিধবা তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিধবা ১৫টি নামের মধ্যে পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধু মাত্র মেয়র এর জন্ম স্থান ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরগাঁও গ্রামেরই ১১ জন বিধবার নাম দেওয়া হয়েছে। ফলে অন্যান্য ওয়ার্ডের অসহায় বিধবা মহিলারা বঞ্চিত হয়েছেন। এদিকে সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রেরিত এমপি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ গাজীর সীল স্বাক্ষরযুক্ত তালিকার সঙ্গে বর্তমান প্রস্তুতকৃত তালিকার অনেক পার্থক্য রয়েছে। 

এ বিষয়ে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করলে তারা জানান, পৌরসভায় পাঠানো হয়েছে তালিকা যাচাই বাচাই করে দেওয়ার জন্য। নতুন নাম সংযুক্ত করার জন্য নয়। এমপির তালিকা পরিবর্তনের ফলে বিজ্ঞজনরা মনে করেন এমপির তালিকা উপেক্ষা করে বির্তকের সৃষ্টি করেছেন পৌর মেয়র। এটা তিনি রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য করেছেন এবং তার দলীয় লোকদের সুবিধা দিয়েছেন।

এএম/বিএ-০২