জনগণের কল্যাণেই গুরুত্ব দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৩, ২০২০
০৫:৩৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৩, ২০২০
০৫:৪০ অপরাহ্ন



জনগণের কল্যাণেই গুরুত্ব দিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি সীমিত করার কথা তুলে ধরে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জনগণের কল্যাণের দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে।’

তিনি বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস সারা বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। এর থেকে মানুষকে রক্ষা করা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মানুষ যাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেই মুজিববর্ষ উৎযাপনের সকল কর্মসূচি স্থগিত করেছি। আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিশেষভাবে উদযাপনের কথা ছিল, সেটাও করতে পারলাম না।’

আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীর দিনে জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করি। এটা নিয়ে আমাদের দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি ছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্য তা পালন করতে পারিনি। আজকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সীমিত আকারে উদযাপন করছি। জনসমাগম হবে- এ ধরনের সব কর্মসূচি বাতিল করেছি জনগণের কল্যাণে। কারণ আমাদের কাছে জনগণের কল্যাণটাই হল সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এটাকেই আমরা গুরুত্ব দিই।’

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ ঘটে আওয়ামী লীগের। প্রায় দুই যুগ পর যে দলটির নেতৃত্বে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

অন্যবছর আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে আওয়ামী লীগ। এবার মুজিববর্ষে দলের একাত্তরতম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে তাদের আরও ব্যাপক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মহামারীর মধ্যে সব পরিকল্পনাই সীমিত করতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দুঃখকষ্ট মানুষের মাঝে আছে। তবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ-কৃষকলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছানো, লাশ দাফন থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে মানুষের পাশে আছে। এলাকাভিত্তিক তারা কাজ করে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এখন বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এইভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনকের নাম এক সময় ‘ইতিহাস থেকে ‍মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল’ কিন্তু তা হয়নি। অবশ্য সত্যকে মোছাও যায় না। জাতির পিতা শারীরিকভাবে আমাদের কাছে নেই। তার অস্তিত্ব বাঙালির হৃদয়ে আছে। তার যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা আমাদের পূরণ করতে হবে। আজকের দিনে আমাদের এটাই শিক্ষা, বাংলাদেশকে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শোষিত বঞ্চিত মানুষের কথাই বলেছে। তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে।’

আরসি-০১